ডেস্ক নিউজঃ পর্নো শিল্পে কাজ করেন পর্নো তারকা জেমস বার্থোলেট। ডাকোটা স্কাইয়ের বন্ধু ছিলেন তিনি। বলেছেন, এ শিল্পে প্রচুর যুবতী ভয়াবহ দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেন। এটা এক কঠিন জায়গা। এ শিল্পে একজন পর্নো তারকাকে ভয়াবহ রকম হয়রানির টার্গেটে পড়তে হয়। ডাকোটা স্কাইয়ের এক আত্মীয় লিন্ডা বলেছেন, তার ভাইঝিকে মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে অন্য পর্নো তারকারা নানারকম বাঁকা কথা শোনাতে থাকেন। বিশেষ করে সে জর্জ ফ্লয়েড ভাস্কর্য্যে নগ্ন হয়ে পোজ দেয়ার পর এই সমালোচনা তীব্র থেকে তীব্র হতে থাকে। তার নিজের জীবনের কাহিনী এবং সে কিভাবে এই শিল্পে যোগ দিয়েছে, তা সত্যিকার অর্থেই এক ট্রাজেডি। ডাকোটা স্কাই মারা যাওয়ার পর পরই তিনি বলেন, কার্যকর নয় এমন এক পরিবারে বড় হয়েছে সে। ওই পরিবারে ছিল মাদকের ব্যবহার, এলকোহল পান করতো। শারীরিক, মানসিক, মৌখিক এবং যৌন নির্যাতন করা হতো ওই পরিবারে।
গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন আরেক পর্নো তারকা জানুয়ারি সেরাফ। ২০১৭ সালে আকস্মিক মারা যান পর্নো তারকা ইউরি লুভ। তার বিছানার পাশে পাওয়া যায় পিল। এর এক বছর পরে ঘুমের মধ্যে মারা যান শীলা স্টাইলেজ। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ২৩ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন অগাস্ট অ্যামিস। ভয়াবহ পচন ধরায় মূত্রাশয়ের সংক্রমণে ২০১৮ সালে মারা যান অলিভিয়া নোভা।
পর্নো তারকা জো পার্কার ২৪ বছর বয়সে মারা যাওয়ার পর গত বছর সেপ্টেম্বরে রেলিন জয় নামে আরেক তারকা বলেছিলেন, খুব দ্রুততার সঙ্গে এই ক্যারিয়ার গড়ে উঠেছিল। যদি কেউ এ জগতে অনেক সময় থাকে, তবু তার সময়কাল ছোট হয়ে আসে। এর কারণ, প্রতি বছর বা দু’বছরে এ শিল্পে যোগ দেয় বিপুল সংখ্যক সুন্দরী যুবতী।
এক সময় পর্নো ওয়েবসাইটে সবচেয়ে বেশি দেখা হয়েছে এমন একজন তারকা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় মিয়া খলিফাকে। তিনি ২০১৫ সালে পর্নো জগত থেকে অবসরে গিয়েছেন। তারপর এ জগত সম্পর্কে কথা বলেছেন। বলেছেন, এ শিল্পে যুবতীদের শিকারে পরিণত করা হয়। তাদেরকে বৈধভাবে এই পেশায় আনতে ফাঁদ পাতা হয়। তখন বাধ্য হয়ে তারা এ জগতে নাম লেখায়। হিজাব পরে একটি যৌন দৃশ্যে অভিনয় করার পর থেকেই হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে লেবাননে জন্মগ্রহণকারী মিয়া খলিফাকে। তিনি দাবি করেছেন যে, তার মাথা কর্তন করতে ছবি শেয়ার করেছে আইসিস। তার ইনস্টাগ্রাম হ্যাক করেছে। এরপর তারা তার নিজের ফ্লাটের ছবি পোস্ট করেছে অনলাইনে।
পর্নো জগতে অভিনয় প্রতিযোগিতামূলক। তাই এ নিয়ে কেউ কিছু বলেন না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পর্নো তারকা ওডেতে ডেলাক্রোইক্স (২৮)। তিনি বলেন, অনলাইনে এবং অফলাইনে তাদেরকে সমালোচনা এবং হুমকির মুখোমুখি হতে হয়। তার ভাষায়, আমার ক্যারিয়ারে এমন কোনো দিন নেই, যেদিন অনলাইনে অথবা ব্যক্তিগতভাবে আমি অবমাননার শিকার না হই। যখন স্থানীয় স্কুল আমার ক্যারিয়ার সম্পর্কে জানতে পারলো, তারা আমার সব পুরস্কার বাতিল করলো। আক্ষরিক অর্থে তারা আমার নাম মুছে দিল।
২০১৮ সালে আরেক পর্নো তারকা জিনজার ব্যাংকস বলেন, সমাজ আমাদেরকে যেভাবে দেখে এবং আমাদের সঙ্গে আচরণ করে, তাতে আমরা অধিক মাত্রায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি।