সমাজের কন্ঠ আন্তর্জাতিক ডেস্ক – অনলাইনে ক্লাসের বিরতিতেই কিছু পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট খুঁজে বার করেছিল এক বছর বসরের যুবক। সে তাতে আসক্ত হয়ে যাওয়ার পরে মা-বাবা বিষয়টি বুঝতে পারেন। ছেলের আসক্তি কাটাতে অবশেষে মনোবিদের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
অনলাইনে আচমকাই এক জনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল দশ বছরের তিয়াসার। নিজেকে যুবক বলে পরিচয় দিয়ে যখন পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই ব্যক্তি তাকে যৌন ইঙ্গিত দিতে শুরু করে, তখন সচেতন হন শিশুটির মা-বাবা।
উপরের চরিত্র দু’টি কাল্পনিক হলেও, ঘটনাগুলি পুরোপুরি বাস্তব। ইন্টারনেটের সুবিধা থাকায় করোনাকালে যেমন পঠনপাঠন থেমে থাকেনি, তেমনই মুদ্রার অন্য পিঠে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ইন্টারনেটের অপরিহার্যতা ডেকে এনেছে কিছু বিপদও। লকডাউনের সময়ে উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গিয়েছে অনলাইনে শিশু-কিশোরদের যৌন হেনস্থার শিকার হওয়ার ঘটনা।
সম্প্রতি এই বিষয়ে ভারত সরকার সেখানকার স্কুলের কর্তৃপক্ষদের সতর্ক করেছেন। সচেতন করা হয়েছে অভিভাবকদেরও। কলকাতার অনেক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও মনে করছেন, যে হেতু এখনও অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী অনলাইনে ক্লাস করছে, তাই ক্লাসের বিরতিতে তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কিছুর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে কি না সেই নজরদারির দায়িত্ব মা-বাবাদেরই নিতে হবে।
হেরিটেজ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সীমা সাপ্রু বলেন, “পড়ুয়ারা যে মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটারের সাহায্যে অনলাইনে ক্লাস করছে, সেটা অভিভাবকেরাই তাদের দিচ্ছেন। ওই যন্ত্রে যথাযথ চাইল্ড লক বা নজরদারির পদ্ধতি রাখা উচিত।” মহাদেবী বিড়লা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জনা সাহার কথায়, “আমরা স্কুলের তরফে সচেতনতা প্রসারের সব রকম চেষ্টা করি। বিভিন্ন ক্লাসের সময়সূচি এবং ক্লাস শেষ হওয়ার পরে তার রিপোর্ট অভিভাবকদের পাঠানো হয়। যাতে অন্য কোনও সময়ে তাঁদের ছেলেমেয়েরা ক্লাস করার অজুহাত দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে
না পারে।’’