শেখ জাকারিয়া রহমান (স্টাফ রিপোর্টার) যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া তালতলা বাজারে নির্মিত ১০৫ মেগাওয়াট কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টটি ছয় বছরেও চালু হয়নি। প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১২ সালে পাঁচ একর জমির ওপর নির্মিত ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি শুরু থেকেই উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। উৎপাদনের কিছুদিন পরই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। আজও প্লান্টটি চালু হয়নি। জানা গেছে, ২০০৮ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে অভয়নগর উপজেলায় দুটি ভাড়াভিত্তিক ১৪৫ মেগাওয়াট (কুইক রেন্টাল) বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। অটবির কোয়ান্টাম নামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। এর মধ্যে উপজেলার তালতলায় ১০৫ মেগাওয়াটের একটি এবং নওয়াপাড়ার পীরবাড়ির পাশে ভৈরব নদের তীরে ৪০ মেগাওয়াটের খানজাহান আলী পাওয়ার প্লান্ট নামের অন্যটি নির্মাণ করা হয়। ভৈরব নদের তীরে নির্মিত ৪০ মেগাওয়াট খানজাহান আলী পাওয়ার প্লান্টটি শুরু থেকেই নিয়মিত বিদ্যুৎ উৎপাদন করে চলেছে। তবে নির্মাণের পর থেকেই ১০৫ মেগাওয়াট কোয়ান্টাম বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায়। ২০১২ সালের জুনে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর পর থেকেই প্লান্টটি তার উৎপাদন ক্ষমতা অনুযায়ী সবগুলো ইউনিট কখনও চালু করতে পারেনি। উৎপাদন ক্ষমতা অনুযায়ী এ প্লান্টটির জ্বালানি তেলের (লুব অয়েল) চাহিদা দুই লাখ ৫০ হাজার লিটার। জালানি তেলের সংকটের কারণে প্রথম দিকে প্লান্টটির কয়েকটি ইউনিট মাঝেমধ্যে বন্ধ থাকত। সর্বশেষ মাত্র ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মেটাত প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিটে ৮ মেগাওয়াট করে ১৩টিতে মোট ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা। তবে প্লান্টটি ২০১৪ সালের জানুয়ারিতেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনেও ব্যর্থ হয়। অভিযোগ রয়েছে, কর্তৃপক্ষ প্লান্টটির ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বরাদ্দ করা জ্বালানি তেল (লুব অয়েল) ভর্তুকি মূল্যে নিলেও কখনও তার স্বাভাবিক উৎপাদন করতে পারেনি।