সমাজের কণ্ঠ ডেস্ক -৬ আগস্ট, ২০১৯ :
র্যাব এর কাছে একটি গোপন তথ্য আসে; জানা যায় চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রাইভেট কারে করে ফেনসিডিলের একটি বড় চালান রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে মাদক কারবারি চক্রটিকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব ১ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং মাদকদ্রব্যের চালানটির গতিবিধি অনুসরণ করে অবস্থান নেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ ৬ আগস্ট ২০১৯ বেলা সাড়ে ১২টার সময় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ১, ক্রাইম প্রিভেনশন কম্পানি ১ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ৭ নম্বর সেক্টরে অভিযান পরিচালনা করে আন্তজেলা মাদক কারবারি চক্রের সদস্য মো. সুমন মিয়া (৩০) ও মো. সজিব হোসেন (৩০) কে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় আটক আসামিদের মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার থেকে ১০৭৫ বোতল ফেনসিডিল, ৩টি মোবাইল ফোন, নগদ ২০,৪০০/- টাকা উদ্ধার করা হয় এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়।
আটককৃত সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে পেশায় একজন কাপড় ব্যবসায়ী। খানখানাপুর বাজারে তার একটি কাপড়ের দোকান আছে। কাপড়ের ব্যবসার পাশাপাশি সে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক কারবারের সাথে জড়িত। তার একটি ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার আছে এবং সেই প্রাইভেট কার দিয়ে মাদক পরিবহন করে রাজধানীসহ আশপাশের জেলায় দিয়ে আসত। সে উক্ত মাদকের চালানটি চুয়াডাঙ্গা দর্শনার মাদক কারবারি মান্নানের নিকট হতে নিয়ে এসে রাজধানী উত্তরার মাদক কারবারির নিকট পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। মাদকের চালনটি উত্তরায় পৌঁছে দেওয়ার পর উত্তরাস্থ মাদক কারবারি তাকে ১,০০,০০০/- টাকা দেওয়ার কথা ছিল। সে ইতিপূর্বে ৮/১০টি মাদকের চালান চুয়াডাঙ্গা হতে নিয়ে এসে রাজধানীতে পৌঁছে দিয়েছে বলে স্বীকার করে। চালনপ্রতি মাদক কারবারিরা তাকে ৮০,০০০/- থেকে ১,০০,০০০/- টাকা দিত। তার নামে ফরিদপুর থানায় ১টি মাদক মামলা আছে এবং রাজবাড়ী থানায় ১টি মাদক মামলায় ২ মাস কারাভোগ করেছে বলে স্বীকার করে। মাদক পরিবহনে সজিব তার সহযোগী হিসেবে কাজ করত বলে জানায়।
অপর আসামি সজিব জানায়, সে পেশায় একজন ড্রাইভার। সে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ রাজবাড়ীসহ আশপাশের এলাকায় রেন্ট-এ-কারে গাড়ি চালিয়ে আসছে। রেন্ট-এ-কারে গাড়ি চালানোর পাশাপাশি সে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক পরিবহনের সাথে জড়িত। সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ফাঁকি দিয়ে তার সহযোগী সুমন এর প্রাইভেট কারে করে মাদকদ্রব্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীতে নিয়ে আসে। সে উক্ত মাদকের চালানটি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হতে নিয়ে এসে রাজধানী উত্তরায় পৌছে দেওয়ার কথা ছিল। চালানটি পৌঁছে দেওয়ার পর তার সহযোগী মাদক কারবারি সুমন তাকে ২০,০০০/- টাকা দেওয়ার কথা ছিল। সে ইতিপূর্বে ৬-৮টি মাদকের চালান পরিবহন করে নিয়ে এসেছে বলে স্বীকার করে। সে রাজবাড়ী থানার একটি মাদক মামলায় ৩ মাস কারাভোগ করেছে।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।