সমাজের কন্ঠ ডেস্ক – নারী ও শিশু ধর্ষণ আকস্মিক মহামারি আকার ধারন করেছে সারাদেশে। ১ বসরের শিশু থেকে ৯০ বছরের বৃদ্ধা, ধর্ষকের কাছে সবার পরিচয় যেন কেবল নারী। অপরাধ ও সমাজ বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের মতে, সামাজিক বন্ধনগুলো আলগা হয়ে যাওয়া আর চিরায়ত মুল্যবোধের অভাবে এ ধরণের ঘৃণ্যতম ঘটনা বাড়ছে। তা রুখতে পারিবারিক মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনের তাগিদ দেন তারা।
এছরের শুরুতে ডেমরায় দুই শিশু ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় শিউরে উঠেছিল দেশবাসী। দোষীদের গ্রেফতারের পরও ধর্ষণের ঘটনা কমছে না, বরং দিন দিন উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। সর্বশেষ রাজধানীর ওয়ারীর সাত বছরের শিশু সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যা ঘটনায় আবারো আলোচনা শুরু হয়েছে জোরেশেরে।
সেই সাথে নারায়ণগঞ্জের একটি স্কুলে ২০ ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করেছে শিক্ষক। আবার মাদ্রাসা শিক্ষকের কাছেও ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ভাবিয়ে তুলছে সবাইকে- আসলে কন্যাশিশুরা কোথায় নিরাপদ? আইন ও শালিস কেন্দ্রের জরিপে উঠে এসেছে গত ছয়মাসে ৬৩০ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। যার মধ্যে ৩৭ জনকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যৌথ পরিবার ভেঙে যাওয়ায় পারিবারিক মূল্যবোধ কমে গেছে। এর জেরে বাড়ছে বিকৃত ঘটনা । মূল্যবোধ শিক্ষার পাশাপাশি শিশুদের বিশেষ করে কন্যা শিশুদের সাবধানে রাখা জরুরি। পরিবারের অত্যন্ত নিকটজন ছাড়া কারো কথায় বা প্রলোভনে যেন কোথাও না যায় সেই শিক্ষা দিতে হবে।
স্কুল, মাদ্রাসাসহ অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেকোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে মা-বাবার সাথে দ্রুত তা আলাপ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন মনে করেন, এধরণের বিষয়গুলো পরিবারের শিশুদের জানিয়ে রাখলে কিছু ফল মিলতে পারে।