সমাজের কণ্ঠ ডেস্ক – ২৮ জুলাই, ২০১৯ :
আসন্ন স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার দাবিতে শনিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় বিক্ষোভে নামেন কয়েক হাজার প্রতিবাদকারী। তারা নির্বাচনে বিরোধীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের পাশাপাশি কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানায়। এসময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পদত্যাগ করতে আহ্বান জানায় প্রতিবাদকারীরা। সেই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করেন বিরোধী নেতারা।
শনিবার অনুষ্ঠিত ওই বিক্ষোভ সমাবেশে লাঠিচার্জের পাশাপাশি আটক করা হয়েছে এক হাজারেরও বেশি প্রতিবাদকারীকে। একইসঙ্গে নিরাপত্তার জন্য হুমকি উল্লেখ করে এই বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মস্কো কর্তৃপক্ষ। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
সমাবেশের পর মস্কোর প্রধান সড়কগুলো অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির পাশাপাশি সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেয়। এসময় বাধা দেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রতিবাদকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
এরপরও আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ চালিয়ে গেলে ব্যাপক ধরপাকড় চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় গণমাধ্যমকর্মীসহ বেশ কয়েকজনকে।
একজন বলেন, কেবলমাত্র রাজনৈতিক কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমি কেবলমাত্র প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন আমাকে আটক করা হয়।
সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আমাকে আটক করা হয়েছে। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। বিনা কারণে মানুষদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
এদিকে শনিবারের বিক্ষোভ ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচার করার অভিযোগে রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি’র অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে রুশ নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় বিক্ষোভ সরাসরি সম্প্রচার বন্ধসহ বেশ কিছু জিনিসপত্র জব্দ করে নিরাপত্তা বাহিনী।
আগামী ৮ সেপ্টেম্বর রাশিয়ায় স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে নানা কারণ দেখিয়ে ইতোমধ্যে ৩০ জন সরকারবিরোধীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থেকেই ব্যাপক আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।