শার্শার রুদ্রপুর গ্রামের দু’শো মৎস্যজীবি পরিবার এখন বেকার দিন কাটাচ্ছে

0
0

নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধিঃ সরকারি নির্দেশে যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর খালে মাছ ধরতে না দেয়ায় গ্রামের প্রায় দু’শো পরিবার বেকার জীবন যাপন করছেন। ফলে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটছে পরিবার গুলির।

রুদ্রপুর গ্রামের আব্দুল মালেক জানান, তার সংসারে ৮ জন সদস্য। মাছ ধরে ও বিক্রী করে তাদের সংসার চলে। এক সপ্তাহ্ হলো তাদের জাল তুলে দেয়া হয়েছে বিল ও খাল থেকে। তারা এখন সম্পুর্ন বেকার জীবন যাপন করছেন। সংসার চলছে না তার।

একই গ্রামের আকবর হোসেনের ৬ জনের সংসার সেও মাছ ধরে জীবন ধারন করেন।
রুদ্রপুরের শাহারুল, দাদখালীর তৈয়ে, ভবানীপুর গ্রামের পিন্টু ও আইউব আলী সহ প্রায় দুশো পরিবার মাছ ধরে সংসার পরিচালনা করে। খালে জাল দিতে না দেয়ায় তারা মাছ ধরতে পারছেন না। তারা এখন বেকার হয়ে হয়ে পড়েছেন। তাদের আরো অভিযোগ মাছগুলো খাল দিয়ে ভারতে চলে যায়। অথচ বিনা অজুহাতে তাদে মাছ ধরতে দেয়া হয় না।

রুদ্রপুর গ্রামের আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সেক্রেটারি শিরাজুল ইসলাম জানান, জৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকেই এ অঞ্চলের খালে বিলে ভারতের নদ নদীর উজানের পানি আসতে শুরু করে। এবং মাঘ মাস পর্যন্ত পানিতে ডুবে থাকে এলাকা। এতে করে সাত আট মাস যাবৎ খাল বিল পানিতে ডুবে থাকে। কোনো ফসল হয় না। এসময় প্রায় লোকই মাছ ধরে সংসার চালান। মাছগুলি খাল দিয়ে ভারতে চলে যাবার পথেই এখানকার মৎস্যজীবিদের জালে আটকা পড়ে। কেবলমাত্র ত্রটিপুর্ন স্লুইজগেটের কারনেই ভারতের উজান পানিতে ভরে যায খাল বিল। জাল দিয়ে মাছ ধরার কারনে পানি বাধাগ্রস্ত হয়না বলেও তিনি জানান।। এতে কোনো অসুবিধা হবার কথা নেই।

এব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান তারা মাছের পথ আটকে মাছ ধরার কারনেই তাদের জাল তুলে নিতে বলা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মেনে খালে মাছ ধরলে কোনো আপত্তি নেই। তবে খালের এপাশ ওপাশ আটকিয়ে মাঝখানে জালপেতে মাছ ধরলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে। তিনি জানান জালের দু’পাশে মাছের যাতায়াতের রাস্থা অবশ্যই রাখতে হবে। ভ্যাসালি জাল ও খেপলা জাল দিয়েও মৎস্যজীবিরা মাছ ধরতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here