নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শায় দুর্বৃত্ত কর্তৃক রাতের আঁধারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার তনয়া প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত বিল বোর্ড ছিড়ে ফেলার ঘটনায় নিরীহ এক যুবলীগ কর্মিকে অপরাজনীতি করে ফাঁসানো হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া বাজারে।
অপরাজনীতির স্বীকার ঔ যুবলীগ কর্মির নাম রাসেল।সে গোড়পাড়া এলাকার ইব্রাহীম(এলেম) হোসেনের ছেলে।
জানাযায়,১৫ আগষ্ট জাতিয় শোক দিবস উপলক্ষে শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ এর যুগ্ম আহবায়ক সেলিম রেজা বিপুল ও সাবেক নিজামপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আশরাফুল আলম বাটুল পৃথক জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজিব ওয়াজেদ জয় সম্বলিত বিল বোর্ড ফেস্টুন টানায় গোড়পাড়া বাজারে। বৃহস্পতিবার সকালে এসে দেখা যায় সেই ফেস্টুন ও বিল বোর্ড ছেড়া। এ ঘটনার পর থেকে শুরু হয় অপরাজনীতি।প্রতিপক্ষের দ্বারা নাইটগাটের বক্তব্য নিয়ে একটি অনলাইন পোর্টাল ও একটি প্রিন্ট পত্রিকাতে নিরীহ ওই যুবলীগ কর্মির উপর দোষ চাপিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়।
এ বিষয়ে বাজারের নাইট গার্ড মহিবুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বাজারে ডিউটি করার সময় বাজারের এপাশ ওপাশ করা লাগে।এর কোন এক ফাঁকে কেবা কারা ফেস্টুন ছিড়েছে আমি জানিনা। পরদিন সকালে দুজন লোক আমার কাছে এসে জানতে চাইলে আমি এই কথাটায় বলতেই আমার পরে চড়াও হন ও ভয় ভীতি দেখান এবং সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুল বাঁকাতে হবে এমন হুমকি দেন।তখন আমি ভয়ে রাসেলের নাম বলি।আসলে কখন কে বা কারা বিলবোর্ড ছিড়েছে এটা আমি দেখিনি।
অপরাজনিতীর স্বীকার রাসেল জানান,আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি।আমার বিরুদ্ধে যে ন্যাক্কার জনক অভিযোগ করে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে এটি মিথ্যা বানোয়াট। আসলে আমাকে নিয়ে অপরাজনীতি করা হচ্ছে।আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং দোষিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নিজামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতি জানান,সকাল বাজারে এসে ফেস্টুন ও বিল বোর্ড ছেড়ার খবর পেয়ে চেয়ারম্যানকে জানায় এবং তদন্ত পুর্বক ব্যাবস্হা নেওয়ার কথা বলি।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ নিজামপুর ইউনিয়নে মুল ধারার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিদের নিয়ে একটি কুচক্রী মহল বিভিন্ন সময় অপরাজনীতিতে মেতে উঠেছে।যার স্বীকার আজকের রাসেল।গত ইউপি নির্বাচনে তারা নিজের বাড়ীতে বোমা মেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য এরকম নেক্কার ঘটনা ঘটেছিল এই নিজামপুর ইউনিয়নে।এবার ও যে তারা ওমন কাজ করিনি তার প্রমান কি?এসময় বঙ্গবন্ধু ওপ্রধানমন্ত্রী সম্বলিত ফেস্টুন ও বিল বোর্ড ছেড়ার ঘটনায় তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান,আমি ঘটনাটা শোনার সাথে সাথে গোড়পড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে ফোন করি এবং এর সাথে যারা জড়িত তাদের সনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করি।এ সময় তিনি এই ন্যাংক্কার জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ওসি বদরুল আলম খান জানান,এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।