জহর হাসান সাগরঃ সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায় পরপর তিনটি কন্যা সন্তান হওয়ার পরে আরেকটি কন্যা সন্তান হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ৮ দিন বয়সী এক কন্যা সন্তানকে গলাটিপে পানিতে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে মা। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (০২ জুন) ভোরে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক শ্যামলী ঘোষ (৩৫) খলিলনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মানিক ঘোষের স্ত্রী।
¯’ানীয়রা জানান, ২৫ মে রাতে মানিক ঘোষ ও শ্যামলী দম্পত্তির একটি মেয়ে সন্তান জন্ম হয়। তাদের আগে তিনটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। মঙ্গলবার (০১ জুন) সকাল থেকে নবজাতকটি নিখোঁজ ছিল। পরে গ্রামবাসীসহ পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে রাতে বাড়ির পাশে পুকুরে নবজাতকটির মরদেহ ভাসমান অব¯’ায় দেখতে পেয়ে ¯’ানীয়রা পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
খলিলনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের বাসিন্দা আজমীর হোসেন জানান, ছেলে সন্তানের আশায় বা”চা নিয়ে মেয়ে হয়েছে। এর আগে ওই দম্পতির ৩টি কন্য সন্তান রয়েছে। সে কারণে রাগ করে নবজাতকটিকে মেরে ফেলেছে।
খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান লিটু জানান, ঘটনা¯’লে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য চৌকিদারকে পাঠানো হয়েছিল। চৌকিদার ফিরে এসে জানিয়েছে শ্যামলী ঘোষের স্বামী মানিক ঘোষ বলেছেন, তিন মেয়ের পর আবার মেয়ে হয়েছে। এ মেয়েকে মেরে না ফেললে তোকে আমি বাড়িতে রাখব না। সে স্বামীর কথামতো নবজাতকটিকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। পরে রাতে পুলিশ নবজাতকটির মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল জনান, নিহত শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শ্যামলী ঘোষকে জেল হাজোতে প্রেরন করা হয়েছে।