জহর হাসান সাগরঃ সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি সাবরেজিষ্টার জনাব মইনুল হক গত ২২ শে সেপ্টেম্বর তালা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্তক প্রদানকৃত মিউটেশনে খতিয়ান নম্বর ৪২৬ সাবেক দাগনং ২৭৬ জমির পরিমান ০.১৩.৫০ একর এবং নায়েব আনিছুর রহমান কর্তৃক ২২-৯- ২০২২ তারিখ স্বাক্ষরিত দাখিলা প্রদান করেন ০.১৩.৫০ একর তাহলে দাখিলা এবং মিউটেশনে হুবহু মিল দেখাযায়। দলিল রেজেষ্টির সময় সাবরেজিষ্টার মিউটেশন খতিয়ানের ডানে মনোগ্রামে গুগলে
স্কানিং করে দেখতেপান ০১. ৩৫ শতক এবং তালা সদর নায়েব আনিছুর রহমান কর্তৃক প্রদান কৃত ২২-৯-২০২২ তারিখের সাবেক ২৭৬ দাগের প্রদান কৃত দাখিলায় ০.১৩.৫০ দেখে হতবাক হয়ে যান।তখন তিনি জালিয়াতি মিউটেশনে রেজেষ্টি বন্দকরেন। এবং তার দপ্তর স্বারক নম্বর ৪১৪ তারিখ ২৮.৯.২০২২ তারিখে মিউটেশনের ও দাখিলার ফটোকপি যাচাই করার জন্য প্রেরন করেন।
এসংক্রান্তে সহকারি কমিশনার ভূমি মোঃ রুহুল কুদ্দুস জানান, মিউটেশনে অনলাইন কপিতে ০.১.৩৫ কিন্তু নায়েব আনিছুর রহমানের প্রদান কৃত ২২.৯.২০২২ তারিখের সাবেক দাগ নং ২৭৬ এর দাখিলায়০.১৩.৫০ শতক এ প্রতিবেদকের সামনে তিনি স্বিকার করেন যা অডিও রেকর্ড করা রয়েছে।
নায়েব আনিছুর রহমানের জালিয়াতি ধরাপড়ল কিভাবে দেখুন ওয়ান লাইন কপিতে. ০.১.৩৫ তাহলে দাখিলা দিলেন ০.১৩.৩৫ কিভাবে ? জনগনের প্রশ্ন নায়েব বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে মিউটেশন জালিয়াতি করেছেন বলেই মিউটেশনের সাথে সমপরিমান দাখিলা প্রদান করেছেন।
একটি সুত্র জানান, এবার আলামত নায়েব আনিছুর স্বাক্ষরিত মুলদাখিলা জব্দ করেছেন সাবরেজিষ্টার উক্ত মুল দাখিলা নষ্টকরতে না পারলে নায়েব আনিছুরের চাকুরী রক্ষাকরার উপায় না থাকায় সাব -রেজিস্টার অফিস থেকে মুল দাখিলা হস্তগত করার জন্য একটি চক্রান্ত করাহচ্ছে। এবং এই মুল দাখিলা সহকারি কমিশনার ভূমিঅফিস হতে লিখিত ভাবে চাওয়া হতে পারে। এই দাখিলা হস্তগত করতে পারলে দাখিলার উপর নুতন ভাবে ০.১.৩৫ লিখে সাবরে জিষ্টার কে ফাসানো হবে। সরকারি নায়েব ও সরকারি অফিসের সম্মান ক্ষুন্নকরার জন্য সাবরেজিষ্টার চক্রান্তকরে বিভিন্ন সংবাদ পত্রে ভূয়া সংবাদ প্রকাশ করে সরকারি প্রতিষ্টানের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্হা গ্রহন করার জন্য আইনমন্ত্রনালয় সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করা হবে মর্মে গোপন চক্রান্ত করা হচ্ছে। অপরদিকে জালিয়াতির ঘটনায় সম্প্রতি সাতক্ষীরা জেলাপ্রশাসন দপ্তরের ৭ জন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারির বিরুদ্ধে বিজ্ঞআদালত প্রত্যেক কে ৭ বৎসরের সাজা প্রদান করেছেন। এতবড় একটি আলোচিত ঘটনার রেশ না কাটতে তিন দিনের মধ্যে সেই জেলার তালা সদরের নায়েব আনিছুর রহমান কর্তৃক জালিয়াতির ঘটনা পত্রিকা ও সোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় সরকারের দূর্নীতি দমন কমিশন সহ একাধিক দপ্তর সাবরেজিষ্টি অফিসে নায়েব অফিসে সহ- কারি কমিশনার ভূমি অফিসে তদন্ত করতে পারেন সেকারন সাবরেজিষ্টার কে মামলায় ফাঁসাতে এবং জালিয়াত নায়েব আনিছুর রহমান কে রক্ষা করতে মুল দাখিলা গায়েব করার জন্য উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে মর্মে সুত্রমতে জানাগেছে। এব্যাপারে সাবরেজিষ্টারের মতামত গ্রহন করা হবে। কি ভয়ানক ফন্দি আটা হয়েছে সকলে চিন্তা করুন। জরুরি ভিক্তিতে দূদক খুলনা অফিসের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি।