জহর হাসান সাগর -তালা (প্রতিনিধি সাতক্ষীরা ):
পাটকে আমরা সাধারনত সোনালী আশঁ হিসাবে জানি । কিন্তু এবার সাতক্ষীরা জেলা তালা উপজেলায় আষাঢ়-শ্রাবন মাসে বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারনে পাট(সোনালী আশঁ) তেমন ভালো চাষ হয়নি । আর যা হয়েছে তার অধিকাংশ পাট গাছ গুলো বিছা পোকার আক্রমনে পাট নষ্ট হয়ে গেছে ।
সরজমিনে দেখা যায়,উপজেলার অধিকাংশ গ্রামের পাট চাষীরা সঠিক সময় বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারনে এখন পাট ধুতে শুরু করেছে । তবে তাদের মুখে হতাশার ছাপ দেখা গেছে । এদিকে সরকারী দপ্তর থেকে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো তাও অর্জনে ব্যার্থ হয়েছে । এখন চাষীদের মাঝে আক্ষেপ আসছে পাটের সঠিক দাম ও পাট থেকে বের হওয়া পাটকাটির যদি সঠিক দাম না হয় তাহলে চরম বিপাকে পড়তে হবে পাট চাষীদের ।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, তালায় পাট থেকে তৈরী পাটকাটি প্রতি আটি বিক্রয় হচ্ছে ১৫-২০ টা দরে । আর পাট বিক্রয় হচ্ছে প্রতি মণ ১৩শত টাকা থেকে ১৪শত টাকা দরে । যা পাট চাষীদের যাদের নিজস্ব জমি আছে তাদের যদিও একটু লাভ হয় কিন্তু যারা জমি বর্গা নিয়ে পাট চাষ করেছেন তারা কোন প্রকার লাভ তো দুরের কথা আসল টাকা তুলতে পারবে কিনা সন্দেহীন আছেন চাষীরা ।
আটারই গ্রামের রাজ্জাক হোসেন জানান,প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমি পাট চাষ করেছি ।কিন্তু সময়মত বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারনে পাট গাছ সঠিক নিয়মে লম্বা হয়নি । আবার বৃষ্টি পাত না হওয়ার কারনে খাল,ডোবা গুলোতে পানি জমেনি । তাই পাট জাগ দিতে কষ্ট হচ্ছে আমাদের ।অপরদিকে ঠিকমত দিন মজুর ও পাচ্ছিনা । এদিকে যদি পাটের সঠিক দাম না পায় তাহলে চরম সংশয়ে পড়তে হবে আমাদের । একই কথা বলেন উপজেলার প্রায় সকল চাষী ভাইয়েরা ।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,চলতি মৌসুমে উপজেলা ব্যাপী পাটের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়ে ছিলো ২হাজার ৮শত হেক্টর তবে চাষ হয়েছে ২হাজার ৪শত হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উপজেলায় এবার পাটের লক্ষমাত্রা অর্জন হয়নি এটা সত্য তবু আশা করছি পাটের আশঁ ও পাট কাটির দাম নিয়ে চাষী ভাইদের কোন প্রকার অসুবিধা হবে না ।