তালা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার হাজরাকাটী গ্রামের ছেলে, বর্তমানে থাকেন তালা কর্মকার পাড়ার মোড়ে কবির আহম্দেদ বলেন যে । শনিবার সকালে বারইহাটি বিলের মধ্য দেখতে পায় মাছের ঘেরের বেড়ীতে জাল ও বাঁশ দিয়ে তৈরি লাউ-কদুর মাচা। উপরে একটি পাখি আটকে আছে। তাৎক্ষণিক আমি চলে যায় পাখিটির কাছে যে ধারণা করি,
হুঁতুম পেঁচা ইঁদুর তাক করে ছো মেরে লাউয়ের মাচার জালে আটকে গেছে। তাই দেখে আমি জাল কেটে পেঁচাটি ছাড়িয়ে নেয়। এবং দেখি যে পাখিটি অনেক অসুস্থ তাৎক্ষণিক খবর দেই WILDLIFE MISSION ( BBCF ) এর সহঃ সাধারন সম্পাদক জহর হাসান সাগর কে সঙ্গে সঙ্গে সকল সদস্যকে জানিয়ে দেয় মুঠো ফোনে।
খবর পেলে পেঁচার চিকিৎসা শুরু করেন
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ বিশ্বাস , প্রচার সম্পাদক জসিম শেখ , ইউনুস , হুমায়ন কবির ও তার পরিবারের সদস্যদের নিবিড় পরিচর্যা শেষে রাতে বাংলাদেশ পাখি ও বণ্যপ্রাণী বিশারদ জনাব শরীফ খান এর নির্দেশ মত হুঁতুম পেঁচাটি প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক জহর হাসান সাগর জানান যে, কবির ভাই আমাকে মুঠোফোনে জানান যে আমাদের এলাকা থেকে একটি অসুস্থ পাখি উদ্ধার করে বাসায় রাখছি, পাখিটি অনেক অসুস্থ তাকে সুস্থ করতে হবে। আমি সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সকল টিম দেরকে খবর দেই আমাদের টিম উপস্থিত থেকে সে পাখিটি সুস্থ করে প্রকৃতির মাঝে মুক্ত করে।
তিনি আরো বলেন যে
গ্রামে হুঁতুম পেঁচা ছিল এক সময় আমাদের ছোট বেলার জীবনের নিত্য সঙ্গী। মাঝ রাতে ঘরের পিছনের বাগানে ভূত-ভূত-ভূতুম ডাক শুনে ঘুম ভেংগে চমকে উঠতাম। মা বলত – ভূতেরা পাখির ছদ্ধবেশে ডাকছে ! তখন ভয় আরও বেড়ে যেত।
আসলে পেঁচা প্রজাতির সব পাখি অত্যান্ত নিরিহ ও উপকারী। গেরস্থ বাড়ী ও ক্ষেতের ইঁদুর সাবাড় করে। নিশাচর ও লাজুক স্বভাবের এই পাখির উপস্থিতি এখন টের পাওয়া যায় না। এখন জনসংখ্যা , গ্রামীণ বন-বাদাড় ধ্বংস , খাদ্য সংকট , গুজব , বিদেশী চক্রান্ত ও চোরা শিকার ওদের বিপন্নতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
গ্রামে শৈশব-কৈশরে অন্ধকার রাতে হুঁতুম পেঁচার ডাকে আজ-কালের ছেলে-মেয়েদের ঘুম ভাঙ্গে না ।