সমাজের কন্ঠ ডেস্ক – শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে তালেবানের সাথে পাক সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার বৈঠক।
আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য এবং শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে পাকিস্তান সফরে আসছেন তালেবানের উপপ্রধান মোল্লা আবদুল গণি ব্রাদার। শীর্ষস্থানীয় তালেবান প্রতিনিধির মাধ্যমে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে করা হয়েছে। তারা পাকিস্তান সরকার, সেনাপ্রধান ও আইএসআই প্রধানের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন (সোর্স আনাদালো এজেন্সি।
তালেবানের মুখপাত্র বলেছেন, পাকিস্তানে আফগান তালেবানদের একটি প্রতিনিধিদল পাকিস্তানের সাথে চলমান শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে শ্রীঘ্রই আসছে! অপরদিকে তালেবান মুখপাত্রর আগেই এই বৈঠকের বিষয়ে পাকিস্তানি কূটনীতিক কর্মকর্তারা ইংগিত করেছেন। প্রত্যাশিত আন্তঃ আফগান সংলাপের আগে পাকিস্তানি নেতৃত্ব রবিবার বলেছিলেন তালেবানের উপ-রাজনৈতিক প্রধান মোল্লা আব্দুল গণির নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের ইসলামিক আমিরাতের [তালেবান] প্রতিনিধি দল শান্তি প্রক্রিয়া, তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় গেলে পাকিস্তানে থাকা আফগান শরণার্থীদের পূর্ণবাসন , বর্তমানে পুতুল ঘানির সীমান্তরক্ষীদের বিদেশী রাষ্ট্রের উসকানিতে ( পশ্চিমা, ইরান ও ভারত) পাকিস্তানে আক্রমণ বন্ধ বা আন্তঃসীমান্তবিরোধ নিষ্পত্তিতে আলোচনা হবে।
তাছাড়াও ভবিষ্যতে দুইদেশের মুসলমানদের ফ্রি খোলামেলা ভ্রমণ এবং দুই প্রতিবেশীর মধ্যে খোলাখুলি বাণিজ্য নিয়ে সর্বশেষ আলোচনা করতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রকের আমন্ত্রণে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন এই প্রতিনিধিদল। অপরদিকে তালেবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন একাধিক টুইটের বিবৃতিতে বলেছেন তালেবান প্রতিনিধিরা কোন সময়ে বৈঠক করবেন এবং এই সফরের সময়কালের ব্যাপারে নিরাপত্তাগত কারণে কোনো তথ্য ফাঁস করা হবে না।অপরদিকে একজন সিনিয়র পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আনাদোলু এজেন্সিকে বলেছেন যে সোমবার মানে আজ তালেবান প্রতিনিধিদল “পাকিস্তানের বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বের” সাথে বৈঠক করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
#কেমন হবে এই বৈঠকের ফলাফল?
আমার মতে এটা একটা যুগান্তকারী বৈঠক হবে। যারা বা যেসব মুসলমান এই আশংকায় দিন কাটাচ্ছেন যে এরদোগানের কিছু হলে মুসলিম বিশ্বের কি হবে তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসছে তালেবান। মুসলমানদের জন্য আরেকটা শক্তিশালী গ্ৰপ সৃষ্টি হচ্ছে। যারা ভবিষ্যতে এমনকি তুরস্কের অভাবপূরণ করবে। অপরদিকে তালেবানের এই বৈঠকে মূলত তালেবান ক্ষমতায় যাওয়ার পর তাদের পররাষ্ট্রনীতি কি হবে পাকিস্তানের ব্যাপারে তা খোলাসা করা হবে।
পাকিস্তান চাচ্ছে আফগান শরণার্থীদের পূর্ণবাসন ,যাদের সংখ্যা বিশাল এবং যারা আমেরিকার কারণে যুদ্ধবস্থায় পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলো। এবং পাকিস্তান আফগানিস্তান খোলা সীমান্ত যাতে ভিসা ছাড়াই আমরা যেমন এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যায় এমনভাবে দুই দেশের মানুষ যাতায়াত করে তালেবান নিঃসংকোচে পাকিস্তানের এসব দাবী পূরণ করবে তা বলাই বাহুল্য।
#তালেবানের অগ্রগতির প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে?
তালেবানের এই অগ্ৰগতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইরানী ব্লক ও সবচেয়ে বেশি ভারত। কাসেম সোলেমানী তার জীবন যৌবন সব ব্যয় করেছিলো তালেবানকে ধবংস করে ফেলতে। কিন্ত তারপরও তালেবানকে ধবংস করা যায়নি। কাসেম সোলেমানী সারা জীবন চেষ্টা করেছিলো ইরানী ব্লককে মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতায় আনতে ও ইরানী ব্লকের মাধ্যমেই মধ্যপ্রাচ্য চালাতে। সে চেষ্টা করেছে ইরান সীমান্তে কখনোই যেন অশিয়া একটা খাটি ইসলামী সাম্রাজ্য না গড়ে ওঠে। আজ সোলেমানী যদি বেঁচে থাকতো তাহলে তালেবানের এই অগ্ৰগতির বিরূদ্ধে এমন কিছু করতো যে শান্তি প্রক্রিয়া তো ব্যাহত হতোই তালেবান ও আগের জায়গায় থাকতো। যাইহোক ইরানী/ শিয়া ব্লকের শিয়া সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার খায়েশে সর্বশেষ চপেটাঘাত করেছে আফগান তালেবান। ইরানের শিয়া সাম্রাজ্যকে মারাত্মক কঠিন করে দিয়েছে তালেবান। আমি সবসময় বলতাম মুসলমানদের কখনোই আল্লাহ নেতা ছাড়া রাখবে না, এটা হলো তার নতুন একটা জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ।