ডেস্ক নিউজঃ বিশ্ববাজারে অব্যাহতভাবে কমছে জ্বালানি তেলেন দাম। এক দিনের ব্যবধানে অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি প্রায় চার ডলার বা সাড়ে ৫ শতাংশ কমে ৬৬ ডলারে নেমে এসেছে।
জ্বালানি তেলের এই দর গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর কথা আপাতত ভাবছে না বাংলাদেশ সরকার।
গত সোমবার (২০শে ডিসেম্বর) ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের দরপতন হয়েছে ২.১৪ ডলার, এদিন প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ৭১.৩৮ ডলারে। আর ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ফিউচারের মূল্য পড়েছে ২.৪৫ ডলার বা ৩.৫ শতাংশ। ব্যারেল প্রতি বিক্রি হয়েছে ৬৮.৪১ ডলারে।
গত ২৭ অক্টোবর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৮৫ ডলার ছাড়িয়ে ৮৫ দশমিক শূন্য ৭ ডলারে ওঠে। এরপর থেকেই তা কমতে থাকে।
বাজার বিশ্লেষক কেলভিন ওয়ং বলেন, ইউরোপ ও আমেরিকায় জ্বালানি তেলের দর কমেছে। এশিয়ার বাজারেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ আসতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে তেলের চাহিদা কমতে পারে। যা যুক্তিযুক্তও বটে।
ইতিমধ্যে ওমিক্রন আতঙ্কে সারাদেশে লকডাউন চালু করেছে নেদারল্যান্ডস। বড়দিন ও নববর্ষে উপলক্ষে ইউরোপের একাধিক দেশ সেই পথে হাঁটতে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সও একই চিন্তাভাবনা করছে। এই অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম কমার ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশের বাজারে এখনই কমছে না তেলের দাম
এদিকে গত ৩ নভেম্বর দেশের বাজারে ডিজেল ও কেরোসিনে লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো হয়। জ্বালানি বিভাগ থেকে দেওয়া মূল্যবৃদ্ধির ওই ঘোষণায় বলা হয়েছিল, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমে গেলে দেশের বাজারেও কমানো হবে। কিন্তু বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমা অব্যাহত থাকলেও দেশের বাজারে তা কমানোর আভাস আপাতত নেই।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পরিচালক (অপারেশনস ও পরিকল্পনা) সৈয়দ মেহদী হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা কমে যাওয়ায় বিপিসি লাভের ধারায় ফিরেছে। তবে তেলের বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত দেশের বাজারে মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না।
এই কর্মকর্তা বলেন, বিপিসির লাভের ধারা কতদিন বজায় থাকবে, সেটিও দেখার বিষয়। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে একদিন দাম কমলে পরদিন আবার বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থার মধ্যে বাজার পর্যবেক্ষণ এবং একটা দীর্ঘ সময়ব্যাপী স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন।