অনুসারী না হওয়ায় যশোরের বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের আবুল সরদারের বিরুদ্ধে বয়স্কভাতার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ছবি জমা না নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার ভুক্তভোগী ৮০ বছর বয়সের এক ব্যক্তি সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই ব্যক্তিসহ স্থানীয়রা। এঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শতভাগ ভাতার আওতায় আনা হবে মর্মে গত রোববার মাইকিং করা হয়। এ সূত্র ধরে ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া এলাকার মৃত শফিউদ্দিন শেখের ছেলে আবু বক্কার শেখ (৮০) অসুস্থ থাকায় তার ছেলে চুন্নু শেখ সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান আবু তাহের আবুল সরদারের নিকট ছবি ও আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে যান। একপর্যায়ে জমা দিলে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার সাথে দল করার অপরাধে তার কাগজপত্র ফিরিয়ে দেন। এ সংক্রান্ত পোস্টে মুহূর্তের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মন্তব্য করেন শরিফ সোহাগ নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, আমি কোনো গ্রুপিং-লবিং বুঝি না। শুধু একটা কথা বুঝি, যেখানে মাইকিং করে আইডি কার্ড জমা নেওয়া হচ্ছে সেখানে এমন একটা ঘটনা কিভাবে ঘটে। ইয়াসিন আরাফাত নামে আরেক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, চেয়ারম্যান কাজটা ভালো করেননি। লোকটা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করি। বয়স্ক ভাতা প্রত্যাশী আবু বক্কার শেখ অভিযোগ করে বলেন, গত দু’বছর আগে চেয়ারম্যান আবু তাহের আবুল সরদার বলেছিল পরিষদে আমি থাকাকালিন তোমার কোনো কাজ হবে না। চিরদিনই আমার সাথে চেয়ারম্যান এইরকম করে আসছে। এইবার অসুস্থ থাকায় ছেলেকে কাগজ দিয়ে পাঠালাম, তাও জমা না নিয়ে ফিরিয়ে দেছে। অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান আবু তাহের আবুল সরদার জানান, ফরমে দুই জায়গায় টিপ সই দেওয়া লাগে। একারণে তার ছেলেকে বলা হয়েছে তার পিতাকে পরিষদে নিয়ে আসতে। এখানে জমা না নেওয়ার কারণ নেই।