সমাজের কন্ঠ ডেস্ক – কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় শ্বাসরোধে রেহানা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার দুপুরে উপজেলার শিবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রেহানা আক্তার (৩০) ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী এবং একই উপজেলার ভিংলাবাড়ী গ্রামের মৃত ইব্রাহিম খানের মেয়ে।
নিহতের লাশ উদ্ধারের পর আজ সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাই শাহ আলম খান বাদী হয়ে দেবিদ্বার খানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই ঘটনার পর থেকে রেহানার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম ও তার ভাই শানু মিয়া পলাতক রয়েছেন।
নিহতের ভাই শাহ আলম খান জানান, প্রায় ১৩ বছর আগে সামাজিকভাবে রেহানা ও জাহাঙ্গীরের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। খুব ভালোই চলছিল তাদের সংসারজীবন। সম্প্রতি জাহাঙ্গীর তার বড় ভাইয়ের শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তিনি ওই নারীকে বিয়ে করার জন্য পায়তারা শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। জাহাঙ্গীর বেশ কয়েকবার ঘুমের ঘোরে বালিশ চাপা দিয়ে রেহানাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। কিন্তু সন্তানদের চিৎকারের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
শাহ আলম খান আরও জানান, গতকাল দুপুরে রেহানাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর স্বামী জাহাঙ্গীর আলম ও তার ভাই শানু মিয়া পালিয়ে যায়। পরে বিকেলে রেহানার ভাই শাহ আলমকে ফোন করে তার বোন আত্মহত্যা করেছে বলে সংবাদ দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আনোয়ার আমাদের সময়কে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। সন্দেহভাজন স্বামী ও ভাসুরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।