এএফসি কাপে আবাহনী লিমিটেড ০৩/০৪/১৯ই বুধবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে দেশটির লিগ চ্যাম্পিয়ন মানাং মার্সিয়াংদি ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে। ২৮ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার মাশি সাইগানি।বর্তমান সময়ে নেপালকে হারানো কঠিন কাজ। মানাং দলটি প্রায় নেপাল জাতীয় দলের-ই প্রতিচ্ছবি। বুধবার ম্যাচে কৃত্রিম ঘাসের মাঠ ও ছিল আবাহনীর জন্য বড় বাধা। কিন্তু সব শঙ্কাই উড়ে গেছে এক জয়ে। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা এএফসি কাপের গত দুটি আসরে একটি করে ম্যাচ জিতলেও কখনো জয় দিয়ে শুরু করতে পারেনি। এবারই প্রথমবারের মতো এশিয়ান মঞ্চে জয় দিয়ে শুরু করল তারা।
এশীয় কোটার খেলোয়াড় না নিয়েই এএফসি কাপে খেলার বদনাম আছে আবাহনীর নামে। এবার দ্বিতীয়বারের মতো এশীয় খেলোয়াড় নিয়ে এশিয়ান মঞ্চে নেমেছে তাঁরা। সেই ফুটবলারের কল্যাণেই প্রথমবারের মতো জয় দিয়ে এএফসি কাপ শুরু করল বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেডে গোলটি করেছেন আফগানিস্তানের জাতীয় দলের সাবেক ডিফেন্ডার সাইগানি। আবাহনীর জার্সিতে অভিষেক হয়েছে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ওয়েলিংটন প্রিওরির। হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবে তিনিও খেলেছেন দুর্দান্ত।
ফুটবলই জয়-ই শেষ কথা। কিন্তু ম্যাচ শেষে আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোস কাটাছেঁড়া করলে হয়তো ভুল-ত্রুটি পাবেন প্রচুর। বল দখলের লড়াইয়ে মাত্র ৩৬ ভাগ ছিল আবাহনীর পক্ষে। পুরো ম্যাচে পোস্টে শট নিতে পেরেছেন মাত্র দুইবার। তাঁর মধ্যে একটিতেই গোল। তবে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে চিজেবার শটটি সাইড পোস্টে লেগে ফিরে না এলে জয়ের ব্যবধানটা তো বড় হতে পারত। নিজেরা গোলের ব্যবধান বাড়াতে না পারলেও নিজেদের রক্ষণভাগটা ছিল অটুট। বিশেষ করে সেণ্টারব্যাক টুটুল হোসেন বাদশার প্রশংসা করতেই হচ্ছে। নেপালের দুইটি ভালো আক্রমণ শেষ মুহূর্তে স্লাইডিং ট্যাকলে রক্ষা করেছেন এই ডিফেন্ডার।
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মিনার্ভা পাঞ্জাবের মুখোমুখি হবে আবাহনী। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৭ এপ্রিল। এএফসি কাপের গ্রুপপর্বে দক্ষিণ এশিয়ার চার ক্লাব খেলছে ‘ই’ গ্রুপে। আবাহনীর সঙ্গে নেপালের মানাং ছাড়াও আছে ভারতের মিনার্ভা পাঞ্জাব ও চেন্নাইন এএফসি। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিক লড়াই শেষে একটি দল যেতে পারবে দ্বিতীয় পর্বে। জয় দিয়ে সে দৌড়ে এগিয়ে গেল আবাহনী।