ইমরান হোসেন সাকিব, নওয়াপাড়া প্রতিনিধিঃ মানবিক বিয়ে হিসাবে চলছে প্রচার। এলাকায় তোলপাড়। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন কথিত মুফতি! রফিকুল ইসলাম। যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সিংগাড়ী কওমি মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম কথিত মাওলানা মুফতি রফিকুল ইসলামের নামে দীর্ঘদিন যাবৎ এক ছাত্রী কে মাদ্রাসায় নিজ কক্ষে একাধিক বার ধর্ষন করার অভিযোগ উঠেছে।
এর মিলেছে সত্যতা। মুখ খুলেছে ভুক্তভুগি পরিবার। সাহস পাইনি মামলা করতে অসহায় পরিবার। বিবাহ না হলেও তালাক করে আপোষের নামে চলছে দর কষাকষি। বিরাম নেই এক শ্রেনীর লোভী মাতব্বরদের।
উপজেলার ৬নং বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চরমোনাই পীরের হাতপাখা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিংগাড়ী কওমি মহিলা মাদরাসার মুহতামিম পালিয়ে কোথায় গিয়েছে হদিস বলতে পারেনি কেহ। তবে চরমোনাই পীরের এ নেতা ও হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম এটাকে একজন এতিম মেয়ের প্রতি মানবিক দৃষ্টি বলে মন্তব্য করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্র বলছে, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদ্রাসার এই ছাত্রীকে তিনি কুরআন শপথ করে বিবাহ রেজিষ্ট্রি ছাড়াই বিয়ে করেছেন। এটাকে মানবিক বিয়ে হিসেবে দেখছেন তিনি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও শালিসির মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে দফা-রফার চেষ্টা চলছে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০০২ সালে দাখিল পাশের পর কথিত মুফতি রফিক আর পড়াশোনা করেননি। এরপর দীর্ঘ দিন মেডিকেল রিপ্রেজেন্ন্টেটিভ হিসেবে এবং ফার্মেসি ব্যবসায় জড়িত থাকার পর মাত্র ৩-৪ বছর কওমি মাদরাসায় পড়ে মুফতি বনে যায় রফিক হুজুর।
ভুক্তভোগির মা জানিয়েছেন মেয়েটার বাবা মারাগেছে বেশ আগে। মেয়েটি হিদিয়া আলিম মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেনীতে উঠেছে। করোনায় মাদ্রাসা বন্ধথাকায় দ্বীনি শিক্ষার জন্য সিংগাড়ী কওমি মাদ্রাসায় দিয়েছিল। তিনি আরো বলেন, হুজুর তার মেয়েকে ৪ মাসে অগনিতবার নির্যাতন করেছে। যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি তার মাকে জানালে দৃষ্টি আসে সকলের।
ভুক্তভোগি মেয়েটি জানালেন, একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কোরআন কসমের মাধ্যমে বিবাহ হয়েছে বলে হুজুর তাকে জানিয়েছে। ৭ নং শুভরাড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাহমুদুর রহমান বিলা জানালেন, মেয়েটি তার এলাকার, বিবাহের কোন কাগজপত্র না থাকলেও তালাকের নামে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটা কুচক্রি মহল।
এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে ভন্ড হুজুরের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী। একই এলাকার মাওলানা আনোয়ার হোসেন জানালেন, সমোঝোতার মিটিংয়ে ডাক পেয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি দেখেছেন মামলার আশ্রায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সকলে।
এবিষয়ে ভাটপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এস আই অভিজিৎ জানালেন কেহ অভিযোগ করি নাই। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।