আফগানিস্তানে মার্কিন দূতাবাস রক্ষায় তালেবানকে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ

0
0

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আফগানিস্তানে তালেবান যদি আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে নেয় এবং বিদেশী সাহায্য পেতে চায় তবে তারা যেন কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে হামলা না চালায়।

কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নিতে অতিরিক্ত তিন হাজার সৈন্য আফগানিস্তানে পাঠাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে নেড প্রাইস বলেন, ‘পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির আলোকে আমরা কাবুল থেকে আমাদের বেসামরিক উপস্থিতি আরো কমিয়ে আনছি ‘ তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে আফগানিস্তানে কূটনীতিক উপস্থিতি কমে আসবে। এই উপস্থিত কমে যাওয়াকে সহায়তা করতে, প্রতিরক্ষা বিভাগ সাময়িকভাবে অতিরিক্ত সৈন্য হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোতায়েন করবে।’

পরে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র জন কিরবি অপর এক সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন দূতাবাস কর্মীদের সাথে সাথে যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ অভিবাসী ভিসার (এসআইভি) আওতায় আবেদন করা আফগানদের সরিয়ে নিতে তিন হাজার সৈন্য পাঠানোর কথা নিশ্চিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জোর দিয়ে বলেন, আফগানিস্তানে এই সৈন্যরা সাময়িকভাবে অবস্থান করবে, দীর্ঘসময় তাদের সেখানে অবস্থানের কোনো পরিকল্পনা মার্কিন বাহিনীর নেই।

জন কিরবি বলেন, ‘যেহেতু আমাদের সৈন্যদের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে মোতায়েন করা হচ্ছে, আমাদের কমান্ডারদের আত্মরক্ষার স্বাভাবিক অধিকার রয়েছে এবং তাদের ওপর যেকোনো হামলায় তারা জোরদার ও যথার্থভাবে প্রতিহত করতে পারে এবং করবে।’

দূতাবাস আমেরিকান সরকারের জন্য কাজ না করা আমেরিকানদের অবিলম্বে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আফগানিস্তান ত্যাগ করার আহ্বান জানায়। তালেবানদের পদযাত্রা কাবুলে দূতাবাসগুলিকে আগামী কয়েক মাস বা এমনকি কয়েক সপ্তাহে সহিংসতা বৃদ্ধির জন্য উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে এবং দেশের কনস্যুলেট এবং অন্যান্য কূটনৈতিক মিশনগুলি বন্ধ করতে বাধ্য করেছে। আমেরিকান কূটনীতিকরা এখন নির্ধারণ করার চেষ্টা করছেন যে, তালেবানরা যদি ধ্বংসের দিকে ঝুঁকতে থাকে তাহলে তাদের দূতাবাস পুরোপুরি সরিয়ে নিতে হবে।

তবে এখনও দূতাবাস বন্ধের কথা ভাবছে না যুক্তরাষ্ট্র। ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, দূতাবাস খোলা থাকবে,’ নেড প্রাইস বৃহস্পতিবার বলেন, ‘এবং আমরা আফগানিস্তানে আমাদের কূটনৈতিক কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি।’ তিনি বলেন, তালেবানদের অভিযানের তীব্র গতি, যার ফলে আফগানিস্তানে সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তা ‘গুরুতর উদ্বেগের’। তাই বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এটি একটি বিচক্ষণ পদক্ষেপ।’ সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here