অভয়নগর প্রতিনিধিঃ যশোরের অভয়নগর উপজেলার পায়রা গ্রামে গত এক মাস আগে ১ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রী (৭) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষনের পর ওই শিশুকে হত্যার হুমকি দিয়ে ভয়-ভীতি দেখানোর ভয়ে সে ধর্ষণের ঘটনাটি কাউকে বলেনি। পরবর্তীতে গোপনাঙ্গে ইনফেকশন দেখা দিলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ফাঁস হয় ধর্ষণের ঘটনা।
এ ঘটনায় একমাস পর থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত উপজেলার পায়রা গ্রামের সাফায়েত মোল্যার ছেলে মিল শ্রমিক সাজ্জাদ হোসেনকে (১৬) অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ধর্ষণের এ ঘটনাটি গত ১৪ মে ২০২১ তারিখ শুক্রবার বিকালে ঘটে। এ ব্যাপারে রোববার বিকালে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ মে ২০২১ তারিখ শুক্রবার বিকালে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করছিলো। এ সময় পায়রা গ্রামের সাফায়েত মোল্যার ছেলে মিল শ্রমিক সাজ্জাদ হোসেন (১৬) টেলিভিশন দেখার কথা বলে ফুসলিয়ে ওই ছাত্রীকে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়। বাড়ির বাথরুমের সামনে গিয়ে জোরপূর্বক হাত ধরে টেনে বাথরুমের মধ্যে ঢুকিয়ে বাথরুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। সে সময় ওই ছাত্রী কান্নাকাটি শুরু করলে অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেন ওই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং এঘটনার ব্যাপারে কাউকে কিছু জানালে হত্যার হুমকি দেয়। ভয়ে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বিষয়টি চেপে যায়। কিন্তু ওই ছাত্রীর গোপনাঙ্গে দেখা দেয় ইনফেকশন।
ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে গত ০৫ জুন ২০২১ তারিখে ওই ছাত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে ওই ছাত্রীকে তার পিতা-মাতা জিজ্ঞাসাবাদ করলে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী ঘটনাটির বর্ণনা করে। ঘটনার সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এবিষয়ে অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল জানান, ঘটনার ব্যাপারে জানতে পেরে অভয়নগর থানার ওসি শামীম হাসানের নির্দেশনায় ঘটনার মূল অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কার্টেসী – অভয়নগরের বাণী