অভয়নগর প্রতিনিধিঃ অভয়নগর উপজেলায় ৪টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করলেন যশোর ডেপুটি সিভিল সার্জন।
কিছুদিন আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.আহমেদুল কবির এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা তিন মাস সময় দিয়েছি এর মধ্যে যারা নিবন্ধন করেনি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায় যশোরের অভয়নগর উপজেলার দুটি ক্লিনিক ও দুটি ডায়াগনস্টিক বন্ধ ঘোষনা করলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ নাজমুল সাদিক রাসেল ।
বৃহস্পতিবার সকালে তিনি অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সামনে অবস্থিত ল্যাভ ওয়েব ডায়গনোস্টিক সেন্টার, আব্দুল মুকিত বিশ্বাস প্রাঃ ক্লিনিক,ইউনিক ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,সার্জিকাল চক্ষু হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ দেন।
অভিযান পরিচালনাকারি ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: নাজমুল সাদিক রাসেল জানান, উপরি মহলের নির্দেশ মোতাবেক অভিযান চলানো হচ্ছে। অভয়নগরে এরই ধারাবাহিকতায় দুটি ক্লিনিক ও দুটি ডায়াগনস্টিক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ল্যাভ ওয়েব ডায়গনোস্টিক সেন্টারে শুধু এক্সরে অনুমোদন আছে কিন্তু তা নবায়ন নেই তাছাড়া প্যাথলজির কোন অনুমোদন নেই, আব্দুল মুকিত বিশ্বাস প্রাঃ ক্লিনিকের কোন অনুমোদন দেওয়া হয়নি,ইউনিক ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের কোন প্রকার বৈধ কাগজপত্র নেই,সার্জিক্যাল চক্ষু হাসপাতালের কোন অনুমোদন নেই এবং এ প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পাওয়ার জন্য কোন আবেদন ও করেনি, এ কারনে প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ করা হয়েছে। অভিযান চলাকালিন মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহনেওয়াজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান, অভয়নগর থানা পুলিশের এস আই ইসরাফিল আহমেদ শামীম।
এ ব্যপারে বিজ্ঞজনেরা সন্তোস প্রকাশ করেন সেই সাথে বলেন ” অনুমোদন হীন এ সব প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য সেবার নামে রুগদের সাথে প্রতারণা করছে। ফলে রুগদের হাজার হাজার টাকা নষ্ট হচ্ছে অথচ প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এধরনের অভিযান পরিচালনা করা ধারা অব্যাহত রাখা উচিত।