স্টাফ রিপোর্টার – খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে পর পর তিন বার ধানের উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষক ধান নিয়ে খাদ্য গুদামে ভিড় জমাচ্ছে। এর আগে কৃষক বাজারে ধান বিক্রয় করে ন্যায্য মূল্য পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, ধান-চাল ক্রয়ে দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি এ সময়ে একজন কৃষকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন আগামীতে দেশের প্রতিটি গুদামে কাঁচা ধান শুকিয়ে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রী সোমবার বিকালে অভয়নগর উপজেলার নওয়াপড়া খাদ্য গুদাম পরিদর্শণ কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মসব কথা বলেন। এ সময়ে তিনি গুদাম পরিদর্শন করে ক্রয়কৃত ধান ও চালের আদ্রতা ও গুনগত মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী গত রোববার সকাল ৮টায় যশোর সার্কিট হাউসে পৌছান। ওই দিন দুপুরে তিনি কুষ্টিয়া, মেহেরপুর,ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। রোববার বিকাল ৫টায় যশোর সার্কিট হাউজে যশোর , নড়াইল ও মাগুরা জেলার খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি খুলনা সার্কিট হাউজে রাত্রি যাপন করেন। সোমবার সকালে তিনি মোংলা সাইলেজ পরিদর্শণ করেন। পরে তিনি -খুলনা, বাগেরহাট,সাতক্ষীরা জেলা খাদ্য গুদাম পরিদর্শণ করেন। তিনি খুলনার মহেশ্বরপাশা সিএসডি ও ফুলতলা খাদ্য গুদাম পরির্দশণ করেন। সর্ব শেষে নওয়াপাড়া খাদ্য গুদাম পরিদর্শণ করে তিনি ঢাকায় ফিরে যান। তার সফর সঙ্গী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: ওমর ফারুক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল আজিজ মোল্যা,আঞ্চলিক সংগ্রহ কর্মকর্তা ড: এস এম মুহাসিন, যশোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: লিয়াকত আলী প্রমুখ। এ ছাড়া নওয়াপাড়া খাদ্য গুদাম পরিদর্শন কালে স্থানীয়দেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অভয়নগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:শাহীনুজ্জামান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রিনা মজুমদার, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: আশরাফুজ্জামান, নওয়াপাড়া খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা এস এম ইকবাল হোসেন প্রমুখ।