মোহাম্মাদ রায়হান (ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি) – পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণি সামান উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো শক্তিশালী হয়ে শুক্রবার বিকেল অথবা শনিবার সকালে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। আবহাওয়া আফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ফণি’র প্রভাবে উত্তাল সাগর; মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে সাত বিপদ সংকেত; চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ফণির আঘাত থেকে রক্ষার জন্য ভারতে উত্তর পূর্বাঞ্চলের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। উড়িষ্যা ও অন্ধ্রপ্রদেশসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় জারি করা হয়েছে রেড এলার্ট। যতই দিন যাচ্ছে ততই শক্তিশালী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ফণি। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতি প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়টি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো শক্তিশালী হয়ে শুক্রবার বিকেল অথবা শনিবার সকালে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। এসময় সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ফণির উৎপত্তিস্থলের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। প্রস্তুত করা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। উপকূলীয় ১৯টি জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এদিকে ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি অতি প্রবল ঘুর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ১’শ ৯০ কিলোমিটার বেগে উড়িষ্যার দিকে এগিয়ে আসছে। শুক্রবার বিকেল নাগাদ এটি আঘাত হাতনে পারে বলে ধারণা করছে তারা। ফণির আঘাত থেকে রক্ষায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে সড়িয়ে নেয়া হচ্ছে। উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়–তে জারি করা হয়েছে রেড এলার্ট।