সাব্বির হাসান আকাশ, মোংলা প্রতিনিধিঃ সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ও বন্যা দুর্গতদের জন্য বরাবরই সহায়তার হাত বাড়িয়েছে কোস্টগার্ড ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (৬ জুন) দুপুরে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ব্যবস্থাপনায় পশ্চিম জোনের বিসিজি স্টেশন কয়রা কর্তৃক খুলনা জেলার কয়রা ও আউটপোস্ট নলিয়ান কর্তৃক দাকোপ থানাধীন উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকার ৯’শ সাত অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
রবিবার (৬ জুন) বিকালে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আমিরুল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যবধি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূলীয় ও চরাঞ্চলের মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছে। বর্তমান করোনা ভাইরাসের প্রভাবে উপকূলীয় ও চরাঞ্চলের কর্মহীন ও দুঃস্থ মানুষের জীবিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। ইতোমধ্যে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর তত্ত্বাবধানে উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার গরিব দুঃস্থ ও কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রান বিতরণ করা হয়েছে।
চলমান ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ব্যবস্থাপনায় পশ্চিম জোনের বিসিজি স্টেশন কয়রা কর্তৃক খুলনা জেলার কয়রা থানার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের গোলখালী, ছোট আন্টিহারা, মাটিয়াভাঙ্গা, জোড়শিং ও পাতাখালী এলাকায় অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ৬০০ ব্যাগ ত্রাণ সামগ্রী (চাল, ডাল, আটা, ছোলা ও লবন), ১২০০ বোতল পানি, ৭০০০ প্যাকেট স্যালাইন, ১০০০০ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ১৭৮০ প্যাকেট বিস্কুট, ১৮৫ টি লুঙ্গি ও ২৪০ টি গেঞ্জি বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও বিসিজি আউটপোস্ট নলিয়ান কর্তৃক খুলনা জেলার দাকোপ থানাধীন নলিয়ান, সুতারখালী ও কালাবগী এলাকায় ৩০৭ ব্যাগ ত্রাণ সামগ্রী (চাল, ডাল, আটা, ছোলা ও লবন), ২৫০ বোতল পানি, ৫ হাজার প্যাকেট স্যালাইন, ৫ হাজার পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ৯০০ প্যাকেট বিস্কুট, ১২৩ টি লুঙ্গি ও ১৫০ টি গেঞ্জি বিতরণ করা হয়।
উক্ত সাহায্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর এখতিয়ারভূক্ত এলাকাসমূহে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, ডাকাতি দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলের কর্মহীন ও দুঃস্থদের মাঝে সহযোগীতার এই ধারাবাহিকতা নিয়মিত অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।