মোঃতৌহিদুর রহমান তুহিন – শুক্রবার ভোরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের চরবালুয়া কাটাখালী নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে মহিমাগঞ্জ, কোচাশহর,শালমারা ও শিবপুর ইউনিয়নের বাড়ী ঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন করে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।এ ছাড়াও কৃষি ফসলি জমি সহ বিভিন্ন ফসল পানির নিচে।
মৎস্য চাষীদের পুকুরে বন্যার পানি ঢুকে মাছ বের হয়ে যাওয়ায় চাষীদের মাথায় হাঁত পড়েছে।বন্যায় বানভাসি মানুষেরা নিজেদের বাড়ী ঘর ছেড়ে উঁচু স্থানের সন্ধানে আশ্রয়ের জন্য ছুঁটছে।এতে তারা বিপাকে পড়েছে গুবাদি পশু গরু,ছাগল,হাঁস,মুরগি নিয়ে। এসব পরিবারে দেখা দিয়েছে শুকনা খাবারের অভাব।অনেক পরিবারে শুকনা জ্বালানি না থাকায় বিপাকে পড়েছে তারা। এদিকে করতোয়া, কাটাখালী,আলেয়া ও বক্ষপুত্র নদীর পানি এখন বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই করছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা সহ দরবস্ত,তালুককানুপুর, হরিরামপুর,রাখালবুরুজ, নাকাই,ফুলবাড়ী ইউনিয়ন এখন বন্যার পানিতে ভাসছে এবং সাপমারা,গুমানীগঞ্জ ও কামারদহ ইউনিয়নের একাংশে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশংকা করছে কৃর্ষকেরা। তবে বানভাসি মানুষেরা অভিযোগ করছে এখন পর্যন্ত সরকারী ও বেসরকারী ভাবে ত্রাণ নিয়ে তাদের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। এদিকে বন্যার পানিতে ডুবে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের রংপুর চিনিকলের শ্রমিক মোঃ মমিনুল ইসলাম মনু মিয়ার মেয়ে মোছাঃমুন্নি খাতুন(৬)নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।