নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধিঃ টানা তিন দিন ঈদের ছুটি শেষে আবারো বেনাপোল স্থলবন্দরের সাথে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে।
রোববার (১৬ মে) সকাল ৯ টায় দুই দেশের মধ্যে ট্রাক চালকরা পণ্য নিয়ে প্রবেশ করে।
এর আগে গত ১৩ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে এপথে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। তবে এসময় বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও দূতাবাদের ছাড় পত্র নিয়ে সচল ছিল পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত ।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, ঈদ ছুটিতে যারা বাড়িতে গিয়ে ছিলেন সবাই কর্মস্থলে ফিরে কাজে যোগ দিয়েছেন। সকাল ৯টা থেকে ১ টা পর্যন্ত ভারত থেকে ১২৮টি ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। বেনাপোল বন্দর থেকে ২৩টি ট্রাক রফতানি পন্য প্রবেশ করেছে পেট্রাপোল বন্দরে। ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত পণ্য খালাস নিতে পারেন সংশিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, বর্তমানে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে দেশের শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখতে বেনাপোল বন্দর লকডাউনের আওতা মুক্ত রয়েছে। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় সাড়ে ৪ শ’ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। প্রতিবছর ভারত থেকে আমদানির পরিমান প্রায় ৪০ হাজার মে. টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য। আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসে। এছাড়া প্রতিদিন বাংলাদেশি প্রায় দেড়শ’ ট্রাক পণ্য রফতানি হয় ভারতে। যা বছরে পরিমান প্রায় ৮ হাজার মে. টন পন্য। বর্তমানে সরকারী আর সপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া অনান্য দিনে ২৪ ঘন্টা চলে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। আমদানি পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস, ক্যেমিকাল, তুলা, মাছ, মেশিনারিজ ও শিশু খাদ্য উল্লেখ্য যোগ্য। রফতানি পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগ পাট ও পাটজাত দ্রব। রাজস্ব আয় ও বাণিজ্যিক দিক থেকে চট্রগ্রাম বন্দরের পরেই বেনাপোল বন্দরের অবস্থান।