সমাজের কণ্ঠ ডেস্ক :২১ আগস্ট, ২০১৯ -বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে অবজ্ঞা-উপহাস না করে দ্রুত তাকে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, তাকে ফিরে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে দুখিনি বাংলাদেশ।
আজ বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, প্রকাশ্যে স্বগর্বে ঘোষণা দিয়ে দেশনেত্রীর জামিনে বাধা দিচ্ছেন স্বয়ং সরকারপ্রধান নিজেই। দেশনেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে উপহাস করে নিজেরাই চিকিৎসার জন্য বিদেশে দৌড়াচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী চোখের চিকিৎসার কথা বলে দুই দফায় দীর্ঘদিন লন্ডনে থেকে এসেছেন। শুধুমাত্র চোখের অপারেশনে এতো দিন সময় লাগে কি না তা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। রোগ-ব্যাধি-জরা বলেকয়ে আসে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দিত্বের আজ ৫৬০তম কালিমালিপ্ত দিবস। সুচিকিৎসার অভাবে চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি ঘটছে।
তিনি আরো বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির যে সংখ্যা প্রকাশ করা হচ্ছে সেটি প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে অনেক কম। অনেকে প্রাইভেট হাসপাতা কিংবা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি না হতে পেরে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হচ্ছে না।
রিজভী বলেন, ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়ালেও সরকার এ নিয়ে এখনও গুজব আবিষ্কারের মধ্যেই আছে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র বলেছেন- ‘এডিস মশা মারার জন্য কার্যকর ওষুধ আনা হয়েছে’। অথচ প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে- এই ছিটানো ওষুধে এডিস মশা আরও উৎসাহিত হয়ে সন্তান-সন্ততি ব্যাপকভাবে উৎপাদন করে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে যা বলা হচ্ছে তা রীতিমত ‘বাকওয়াস’। ডেঙ্গু মরণের বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে দেশে। ডেঙ্গু আক্রমণের পূর্বেই প্রস্তুতির অভাব এবং ডেঙ্গু রোগে মহামারিতে সারা দেশ আক্রান্ত হওয়ার পরও সরকারের উচ্ছ্বাস ও তামাশারও কোনো কমতি নেই।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে এখন ঘাতক ও মৃত্যুরই সহাবস্থান। ঊর্ধ্বতন আদালতও বলেছেন বিচার না হওয়ার কারণে অধরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ন্যায়বিচারও এদেশ থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে।