মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘আসামিদের প্রতিষ্ঠিত ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড ২০০৫ সালে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ব্রোশিয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে শেয়ারহোল্ডার হিসেবে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাব ছিল—শেয়ারবাবদ ২৫ হাজার পাউন্ড (২৯ লাখ টাকা) বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীকে কম্পানির পরিচালক পদসহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। মামলার বাদী মিনাজ আহমেদ ওই প্রস্তাবে সম্মত হয়ে ২০০৬ সালের ৩ মার্চ পরিচালক পদ পাওয়ার আশায় এই টাকা বিনিয়োগ করেন।
২০০৭ সালের আগস্টে কম্পানির পরিচালক হিসেবে মিনাজ আহমেদকে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) দেওয়া হয়। এরপর ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে মিনাজ বাংলাদেশে ফিরে কম্পানির কাগজপত্র ও বিনিয়োগের শেয়ারের সনদ দেখতে চাইলে আসামি মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ ও আরিফ মোতাহার গড়িমসি শুরু করেন। একপর্যায়ে মাত্র ২৯ হাজার টাকার শেয়ার তাঁর নামে আছে জানতে পারলে মিনাজ আহমেদ প্রতারিত হয়েছেন, সেটা টের পান। পরে তিনি আরো খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, প্রতিষ্ঠানটি সব বিনিয়োগকারীর সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইকরাম হোসেন বলেন, ‘বাদী কম্পানির শেয়ার কিনে প্রতারণার শিকার হলে ঢাকার মুখ্য হাকিম আদালতে গত ৩০ নভেম্বর মামলা করেন। এরপর ওই দিন আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। তবে আসামিরা সমন পাওয়ার পরও আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করি। আদালত ওই দিনই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’
মামলার বাদী মিনাজ আহমেদ বলেন, ‘লিখিত চুক্তিতে আমার কাছ থেকে ২৯ লাখ টাকা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অথচ আমাকে সমপরিমাণ শেয়ার হস্তান্তর না করে ভুয়া পরিচয়পত্র দেয়। এমনকি কথিত এজিএম ও সই জাল করে প্রতারণা করে।’
– প্রথম আলো