সোমবার রাত পৌনে ১১টায় ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা তা তদন্ত হবে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ডিবি অফিসে নেয়ার পর ভিপি নুরের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তার এজমা আছে। রাতে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। যেকোনো সময় তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে আটকের পর তার মুক্তি নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।
সোমবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে নূরসহ সাতজনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের কাজে বাধা দেয়া এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে শাহবাগ থেকে তাদের আটক করা হয়। এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর এলেও বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।
ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ভিপি নুরসহ আমাদের কয়েকজন সহযোদ্ধার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম।
বিক্ষোভ মিছিলের শেষের দিকে শাহবাগ থেকে পুলিশ ভিপি নুরকে আটক করে। এ সময় পুলিশের অতর্কিত আক্রমণে নুরকে বাঁচাতে গিয়ে আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। আমি নিজেও আহত হয়েছি।
এর আগে রোববার নুরসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান আল মামুনকে। ধর্ষণে সহযোগী হিসেবে ভিপি নুরকে করা হয়৩ নম্বর আসামি।
ধর্ষণের অভিযোগে এক তরুণীর এ মামলাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
এ মামলার প্রতিবাদে সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে মৎস্য ভবন এলাকায় মিছিলটি পৌঁছলে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়। ঘটনাস্থল থেকে ভিপি নূরসহ সাতজনকে সেখানে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
সূত্র : যুগান্তর