গোপালগঞ্জে ডায়রিয়া প্রকোপ।ডায়রিয়া রোগীর চাপ বাড়ছে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে

0
1
আজমানুর রহমান (গোপালগঞ্জ) : গোপালগঞ্জে ডায়রিয়া রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হচ্ছে না। অনবরত রোগী আসছেই গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে। হাসপাতালের ওআরটি বিভাগের নার্স সাদিয়া জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার বিকাল পর্যন্ত ২০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ১৯ জন রোগী বাড়ী চলে গিয়েছেন। যারা বাড়ী চলে গিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ হন নাই। বর্তমানে ওআরটি বিভাগে ভর্তি রয়েছে ২৫ জন। বেড সংখ্যা ১২ টি। গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা.আনিসুর রহমান ভুইঞা জানিয়েছেন গত এক সপ্তাহে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে কমপক্ষে এক হাজার রোগী এসেছে চিকিৎসার জন্য। সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, অনেকে বেড না পেয়ে মেঝেতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে ওআরটি বিভাগের বাইরে খোলা জায়গায় রাত্রী যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক রোগী অসহনীয় ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দেখে ক্লিনিকগুলিতে ভর্তি হচ্ছেন। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খোলা জায়গায় থাকা রোগীদের সরিয়ে অন্যত্র নিতে সক্ষম হয় নাই গত ২ সপ্তাহে। তাদের জন্য তাবুর ব্যবস্থা করাও সম্ভব হয় নাই। মাঝে একদিনের জন্য ত্রিপল টানিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করতে দেখা গেছে। তবে সামান্য ঝড়ো হাওয়ায় তা বিণষ্ট হওয়ায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মানবেতর জীবনযাপন করছেন গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের রোগীরা। চিকিৎসাধীন রোগীদের ঔষুধ সরবরাহ সঠিকভাবে হচ্ছে না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ব্যাপার জানার জন্য অনেক খুজেও হাসপাতালের আরএমও ডা.ফারুক আহমেদকে কোথাও পাওয়া যায় নাই। তিনি প্রায়ই অনুপস্থিত থাকেন বলে জানা গেছে। আরেক জন আরএমও ডা.নাজমুল হক লষ্কর স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় কারাগারে রয়েছেন। হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা.ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, সাম্ভাব্য সকল চেষ্টা করেও পরিস্থিতির উন্নতি করা সম্ভব হয় নাই। এদিকে ডায়রিয়া রোগের বিস্তার লাভের কারন নির্ণয়ও প্রতিকার নিয়ে আলাপ করা হলে বেশিরভাগ চিকিৎসক বলেছেন প্রচন্ড দাবদাহ, গ্রামাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির অভাব,খোলা জায়গার খাবার খাওয়া প্রভৃতি কারনে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here