সিউলের কনকুক ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক এবং গবেষক কিটাই সনের গবেষণাটি করা হয়েছে ৭৮৫০ নারীর ওপরে। দেখা গেছে সুখী দাম্পত্যের সঙ্গে স্বামীর উচ্চতার সঙ্গে সম্পর্ক আছে।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী যে নারীদের স্বামীর উচ্চতা বেশি, তারা অন্যদের চাইতে নিজেদেরকে বেশি সুখী বলে দাবি করেছেন। সঠিক কারণ কেউ না জানালেও গবেষকের মতে নারীরা সাধারণত পুরুষের প্রতিই বেশি আকৃষ্ট হয়ে থাকেন।
লম্বা পুরুষরা শক্তিশালী হয় এবং স্ত্রীরা তাদের উচ্চতায় মুগ্ধ থাকে এবং নিরাপদ বোধ করে। তবে এই আকর্ষণ বিয়ের পর মাত্র ১৮ বছর থাকে। এরপর উচ্চতার আর কোনো প্রভাব থাকে না সংসারে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, উচ্চতা বেশি হওয়ার কারণে দেখতে স্মার্ট দেখায়। ফলে কর্মক্ষেত্রেও লম্বা পুরুষরা সফলতা পায়। তাদের আত্মবিশ্বাস বেশি থাকায় সঙ্গীকে নিয়ে কখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে না তারা। ফলে দাম্পত্য সম্পর্কে জটিলতা কম থাকে।
পোল্যান্ডের একজন নৃতত্ত্ববিদ তার একটি গবেষণায় বলেছেন, জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অর্থ, সম্মান এবং বিশ্বাস কিছুই না দেখে উচ্চতা দেখা উচিত। তার মতে, একজন নারীর তুলনায় পুরুষের ১.০৯ গুন বেশি লম্বা হওয়া জরুরি। উদাহরণ দিলে বুঝতে সুবিধা হতে পারে। ভিক্টোরিয়া বেকহামের চাইতে ডেভিড বেকহামের উচ্চতা ১.০৯গুন বেশি।