সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ণ চিকিৎসদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

0
6

সমাজের কন্ঠ ডেস্ক : কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আউটডোরে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রাখা হয়।

কক্সবাজারে কর্মরত চিকিৎসকদের উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন ১৮-১৯, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্মস্থলের দাবি জানানো হয়।

চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) টিএসসিতে বৈঠক করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

এতে সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেন তারা।

এছাড়া বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত হয়।

১. আজ থেকে সারাদেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইন্টার্ন কর্মবিরতি পালন করা হবে।
২. প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিএসএমএমইউ আউটডোর বন্ধ থাকবে।
৩. প্রত্যেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (সরকারি ও বেসরকারি) সামনে হাসপাতালের চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা প্রতিদিন সকাল ১১টায় নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করবে।

পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের লক্ষ্যে আজ (রোববার) সন্ধ্যা ৭টায় একই জায়গায় আবারও বৈঠকে বসবেন তরুণ চিকিৎসকরা।

প্রসঙ্গত, একিউট প্যানক্রিয়াটাইটিসে আক্রান্ত আনোয়ার হোসেন নামে এক রোগী কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন ছিল। বিষয়টি তার স্বজনদের জানানোর পাশাপাশি চিকিৎসা সেবাও আন্তরিকভাবে প্রদান করা হচ্ছিল। গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেলে রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করেন, ইনজেকশন দিয়ে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। এরপর ওই দিন বিকাল ৩টার দিকে হাসপাতালে এসে চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালায় তারা।

এ সময় তারা ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. রাসেল আল মাহমুদ, ডা. জ্যাকসন ত্রিপুরাকে মারধর করে। তাদের হামলায় আহত হন সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. ফাহিম মো. তাজনুন। এছাড়া ওয়ার্ড বয়, নার্সদের ওপরও হামলা চালায় তারা।

এ সময় হামলাকারীরা ফ্রিজ, টেবিল ও চেয়ার ভাঙচুরের পাশাপাশি রোগীদের ফাইলপত্র ছিড়ে ফেলে।

এরপর থেকে এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি এবং হাসপাতালে নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here