চৌগাছা (যশোর):প্রতিনিধি – যশোরের চৌগাছার পল্লীতে হতদরিদ্র এক বৃদ্ধর বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন ছোট্ট টোং দোকান দূর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৫ অক্টোবর গভীর রাতে উপজেলার কচুবিলা বাজারে এই ঘটনা ঘটেছে। মোশারফ হোসেন (৮০) স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এমনকি থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহীত করেও কোন ফল পাইনি। আয়ের উৎস দোকান হারিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি।
ভুক্তভোগী মোশারফ হোসেন জানান, ১৯৯১ সাল হতে কচুবিলা বাজারে একটি টোং দোকানে চা, পান, সিগারেট সহ অন্যান্য মালামাল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। দীর্ঘ দিন ব্যবসা করার কারনে স্থানীয়দের কাছে বেশ টাকা তার বাকি পড়ে যায়। বাকি টাকা চাইলে তাদের সাথে প্রায় বিবাদ হত। ঘটনার দিন তিনি কাঁকুড়িয়া গ্রামের আবুল খায়ের, রফিকুল ইসলাম, ফুলজার হোসেন, দিঘড়ী গ্রামের দুদু মিয়া, সাঞ্চাডাঙ্গা গ্রামের কবির হোসেনের নিকট পৃথক ভাবে টাকা চাওয়া নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এরপর রাতে অন্য দিনের ন্যায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যায়। সকালে দোকান খুলতে এসে দেখতে পাই দোকান ঘর সহ দোকানে থাকা সকল মালামাল এমনকি বাকির সেই খাতা সব কিছু পুড়ে চাই হয়ে গেছে। যার আনুমানিক ক্ষতির পরিমান প্রায় দেড় লাখ টাকা বলে তিনি জানান।
এ ঘটনার পর বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট থানায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছি। আমি শুনেছি থানা পুলিশ ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিনের উপর দায়িত্ব দিয়েছে, কিন্তু ঘটনার সপ্তাহ পার হলেও আজ পর্যন্ত কোন সুবিচার পাইনি। আয়ের একমাত্র উৎস ব্যবসা হারিয়ে তিনি চরম মেনবেতর জীবন যাপন করছেন।
ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি যে দিন বসতে চেয়েছিলাম ওই দিন সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব তার এক প্রতিনিধির মাধ্যমে জানান, তিনি ঢাকাতে আছেন, ঢাকা থেকে এসে বিষয়টি তিনি নিজে সুরাহ করবেন।
থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। একটি জরুরী কাজে যশোরে এসেছি, থানায় ফিরে বিষয়টি দেখা হবে বলে তিনি জানান।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি শুনেছি বৃদ্ধ মোশারফ হোসেনের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত তা আমার জানা নেই।