ঝিকরগাছার বুকচিরে বহমান কপোতাক্ষ নদীটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত

0
0

নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধিঃ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মহা’কবি মাইকেল মধূসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহ্যবাহি কপোতাক্ষ নদ। এক সময় এ এলাকার মানুষ কৃষি কাজসহ দৈনন্দিন নানা কাজ সম্পন্ন করতো এ কপোতাক্ষ নদের পানি দিয়ে।যশোরের সুনাম করতে গেলেও এই নদের কথা কেউ বাদ দিতে পারবে না! আর সেই কপোতাক্ষ নদে এভাবেই প্রতিনিয়ত ময়লা আবর্জনার মত বিষ ফেলে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করছে স্থানীয়রা। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করতে পারবে না।

কালের বিবর্তনে নদের নব্যতা সংকট,অবৈধভাবে নদের উপর দাড়িয়ে থাকা অট্টালিকা ও আবর্জনা ফেলার কারনে নদটি যেমন সরু হয়েছে তেমনি পানির প্রবাহ একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। সবার কাছে আজ নদটি অবহেলার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখ ভালের কেউ নেই।

বাঁকড়া বাজারের অধিকাংশ ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে কপোতাক্ষ নদে। ফলে দ্রুতই ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদটি। বাড়ছে পরিবশ দূষণ। ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগ-ব্যাধি। দূষণে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে নদের পানি।

সরজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বাঁকড়া বাজারের ময়লা-আবর্জনা ব্রীজ ঘাটে কপোতাক্ষ নদে ফেলা হচ্ছে। নদের কিনারায় ময়লা ও বর্জের স্তুপে পাহাড় হয়ে দাড়িয়ে আছে ফলে স্থানটি দিন দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদের পানির স্রোত প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।আর কচুরিপানার কথা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রচন্ড দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশ এলাকায়। ব্রীজ পার হতে হচ্ছে পথচারি-স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নাক চেপে।কপোতাক্ষ নদে এভাবে ময়লা বর্জ্য ফেলা হলে ভবিষ্যতে ব্রীজ বানানোর প্রয়োজন হবে না!অথচ প্রশাসনের নাকের ডগায় এহেন কর্মকান্ড অবাধে চললেও বাধা দেবার যেন কেও নেই।

বাঁকড়া বাজারের ব্যবসায়ী ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা জানান, বাজারের ময়লা ফেলার জন্য সুনির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় নদেই ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা।

বাঁকড়া বাজার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জানান, আমরা বর্ষার পরপরই আমাদের নেতাকর্মীদের ও উপজেলা প্রশাসনের অবগত করেছি।তারা আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু কবে এর বিকল্প কিছু একটা হবে সেটা জানা নেই। তবে,পত্র-পত্রিকা লেখালেখি করার দরকার নেই।

কপোতাক্ষ নদে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে ও নদের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এলাকার সচেতন মহল প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here