চৌগাছায় অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত গরু, দিশেহারা কৃষক

0
0
 প্রতিবেদক, চৌগাছা (যশোর) : যশোরের চৌগাছার অধিকাংশ গ্রামে গরু অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। হালের বলদ, গাভী এমনকি বাছুর রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
 প্রথম দিকে এই সংখ্যা কম হলেও দিন দিন তা বাড়ছে। একের পর এক গরু রোগাক্রান্ত হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তবে আতংকিত না হয়ে আক্রান্ত গরুকে স্বাভাবিক চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।

সূত্র জানায়, গত এক মাস ধরে উপজেলার অধিকাংশ গ্রামে সব ধরনের গরু অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে সদর উপজেলার কয়ারপাড়া গ্রামে গত দুই সপ্তাহে অর্ধশত গরু অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

 
প্রথম দিকে আক্রান্ত গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে উঠছে। এরপর ওই ফোলা স্থানের মাংস পচে পড়ে যাচ্ছে এবং ক্ষতের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া আক্রান্ত গরুর পায়ের জয়েন্ট (গিরা) ফুলে উঠছে। 
 
এ সময় গরু উঠে দাড়াতে পর্যন্ত পারছে না। কয়ারপাড়া গ্রামের আমির আলীর ছেলে ওমর আলী জানান, ১০/১২ দিন আগে হঠাৎ একদিন তার দুটি গরুর শরীরে বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট ফোলা দেখতে পান। প্রথম দিকে বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দেননি। এর দুই এক দিন পর দেখতে পান ওই ফুলা স্থান থেকে মাংস পড়ে গেছে এবং সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। 
 
এ সময় তিনি স্থানীয় পশু চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ানোর পর বর্তমানে আক্রান্ত গরু কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছে। দিন দিন আক্রান্ত গরুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ দিকে উপজেলার পুড়াপাড়া, জাহাঙ্গীরপুর, গরীবপুর, কাবিলপুর, বকশিপুর, মাধবপুর, বেড়গোবিন্দপুর সহ অধিকাংশ গ্রামে অজ্ঞাত রোগে গরু আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। 
 
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র গোস্বামী বলেন, এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। প্রাথমিক ভাবে আমরা লাম্পপিস্ট স্কীন ডিজিস (এলএসডি) রোগ বলে ধারনা করছি। 
 
যে সব গরু এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তাদের কোন ক্রমেই এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো যাবে না, প্যরাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়াতে হবে। আর আক্রান্ত পশুকে ভালো পশু থেকে নিরাপদ দুরত্বে রাখতে হবে এবং গোয়াল বা খামারের চারিপাশে ব্লিসিং পাউডার ছিটানোর পরামর্শ দেন তিনি। কিছু দিন যাওয়ার পর গরু সুস্থ্য হয়ে উঠবে বলে তিনি জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here