যশোরের চৌগাছা উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের হাজরাখানা গ্রামে ঐতিহ্যবাহী পীর বলু দেওয়ানের মেলার আজ ১০ দিন পার হচ্ছে। প্রতিবছর মেলা শুরু হয়ে তা একাধারে ১০ দিন চলে। আর শেষ সময়ে মানুষের সংসারের চাহিদা মেটাতে ভিড় করছে আসবার পত্রের দোকানে ।
মেলায় দুইটি বিলাশ বহুল কাঠের পালঙ্ক এসেছে যার এক একটির দাম সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা দাম হাকানো হয়েছে । প্রতিদিনই শত শত লোক ভিড় করছে এই পালঙ্ক দেখার জন্য । মেলা শেষ কিন্তু বিক্রেতা একটি পালঙ্ক ও বিক্রয় করতে পারিনি । তবে বিক্রেতা জানান, আগামী দুই এক দিনের মধ্যে বিক্রয় হতে পারে।
সরেজমিন আজ বেলা ১১ টায় মেলার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ার-টেবিল, খাট-পালঙ্ক, সোফা, সোকেজ, আলমারি দোকান গুলোতে চলছে উপচে পড়া ভিড়। মেলা শেষ তাই এমন ভিড় । তবে অন্য সব বছরের তুলনায় এবার আসবারপত্রের দোকানে বেচা-কিনা কম ।
কুষ্টিয়ার আল-আমিন নামের এক স্টিলের ফার্ণিচার ব্যবসায়ি জানান, মেলার প্রথমে আমাদের ভিড় না থাকলেও এখন অনেক ভিড়। মেলা শেষের পথে তাই ,মানুষের সংসারের চাহিদা মেটাতে ভিড় করছে আমাদের দোকানে ।
ফরিদপুরের আব্দুল আজিজ নামের এক কাঠ ব্যবসায়ি বলেন, আমাদের বেচা-কিনা মোটামুটি শুরু হয়ে গেছে ,মাল বেচা-কিনা করে যা থাকে সে গুলো লালনের মেলায় নিয়ে যাবো ।
উপজেলার বড়খানপুরের শরীফ মোহাম্মদ বনী আলীম বলেন, মেলায় শেষ সময়ে একটু ভিড় কম হয় এজন্য আজ আমি এসে পছন্দ মতো একটা কাঠের আলমারি কিনলাম ।
তবে অন্য সব বছরের তুলনায় এবার কাঠ ও স্টিলের তৈরি ফার্ণিচার ছিলো চোখে পড়ার মতো কিন্তু সে হিসাবে বেচা-কিনা তুলনা মূলক অনেক কম হয়েছে ।
উল্লেখ্য, প্রতি বাংলা সনের ভাদ্র মাসের শেষ মঙ্গলবার এ অঞ্চলের প্রখ্যাত পীর বলুহ মেলা শুরু হয়। মঙ্গলবারে শুরু হয়ে তা একাধারে তিন দিন চলে। তবে প্রতিবছরই ৩ দিনের পরিবর্তে মেলা চলে ১০ দিন। যুগ যুগ ধরে পীর বলুহ দেওয়ান (রহ.) এর মাজারকে ঘিরে এই মেলা বসে।