জনি আহমেদ – যশোরের খাজুরায় দেবরের হাতে ভাবী খুন হয়েছে। নিহত জিনিয়া ইয়াসমিন তুলি (২৪) বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা পান্তাপাড়া গ্রামের জুলফিক্কার আলীর স্ত্রী। তার এগার মাসের ১টি পুত্র সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় ২ জনকে আসামী করে রোববার (১৪ এপ্রিল) বাঘারপাড়া থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৩। নিহত তুলির ননদ সুরাইয়া খাতুন বলেন, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে তার ভাই শাহাবুদ্দিন ঘরের দরজা বন্ধ করে তার ভাবীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এসময় আমরা পাশের রুমেই ছিলাম। আমার মা ফরিদা বেগম (তুলির শ্বাশুড়ী) ও তুলির পিতা শহিদুল ইসলামও ওই বাড়ীতে ছিল। আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই মাত্র ৩ মিনিটেই এই ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে তুলির পিতা পাশের রুমের দেওয়াল টপকিয়ে ঘরে ঢুকে তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে কিছুক্ষণ চিকিৎসার পর তাকে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরদিন রবিবার সকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতিকালে তার মৃত্যু হয়। সুরাইয়া আরও জানান, বেশ কয়েক মাস যাবৎ তাদের বাড়ীতে সাংসারিক কলহে অশান্তি চলছিলো। প্রায়ই তার মাকে মারতো ভাবী। তাকেও কয়েক বার বাড়ী থেকে তাড়ীয়ে দিয়েছে। প্রতিনিয়ত এসকল অশান্তি সহ্য করতে না পেরে তার ভাই শাহাব্দ্দুীন ঘরের দরজা বন্ধ করে ভাবীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে। যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাঃ আরিফুজ্জামান বলেন, নিহতের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রচুর রক্ত খরনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের শরীরের ১২টি স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরমধ্যে পিটে ৮টি হাতে ও হাঁটুর নিচে ৪টি। খবর পেয়ে বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দীন ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রবিবার রাতে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত তুলির পিতার বাড়ী ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানার বারোবাজার ঝনঝনিয়া গ্রামে তাকে দাফন করা হয়েছে।