শার্শায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট গুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

0
0

নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবন জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেগ ঈদকে সামনে রেখে খোলা হয়েছে দোকানপাট ও শপিং সেন্টার।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে রাত্র ৮ টা পর্যন্ত এই দোকানপাট ও শপিং সেন্টার খোলা রাখা হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

আর দোকানপাট খোলার পরপরই শার্শা উপজেলার বাজারের বেশিরভাগ দোকানপাট এবং শপিং সেন্টারে ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সাথে সাথে অনেকেই ঈদের বাজার করতে দোকানগুলোতে ভীড় করছে।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় দীর্ঘদিন দোকানপাট বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হলেও সরকারিভাবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদ পর্যন্ত ১০টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখা হলে অনেকটাই ক্ষতিটা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।

শার্শা বেনাপোল বাগআঁচড়ার বড় মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটেছে,কয়েকদিন লকডাউনে মার্কেট বন্ধ থাকার পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পেরে খুশি ব্যবসায়ীরাও।

বাগআঁচড়া বাবু চেয়ারম্যান মার্কেট এর মালিক আসাদুল ইসলাম জানান,করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবন জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল থেকে দোকানপাট ও শপিং সেন্টার খোলা রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে আমরা ব্যবসায়ীরা খুব খুশি।

নাভারন তালেব মার্কেটের ব্যবসায়ী শিমুল জানান,যদি ঈদের আগে পর্যন্ত মার্কেটগুলো খোলা থাকে তবে আমরা আমাদের ব্যবসা করতে পারবো এবং ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবো।

নিউ মার্কেটের আল্লাহর দান বস্ত্রালয়ের মালিক খালিদ হাসান বলেন,করোনা আর লকডাউনে আমাদের ব্যবসায়ীদের জীবন এখন বিষন্ন হয়ে ওঠেছে। কিছুদিন ব্যবসা বন্ধ থাকায় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে জীবন যাপন করেছি তবে এখন দোকানপাট ও শপিং সেন্টার খোলার পর থেকে ক্রেতাদের মার্কেটে দেখা যাচ্ছে আর বেচাঁকেনা হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি।

এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা জানান,সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেগ দোকানপাট এবং শপিং সেন্টার খোলা হয়েছে তবে প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে আমরা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে ব্যবসা পরিচালনা জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছি। তবে ক্রেতা বিক্রেতারা যদি কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here