মোঃ আশরাফুল ইসলাম সোহেল (কালীগঞ্জ প্রতিনিধি) – ঝিনাইদহের কালিগঞ্জে ইসলামী (প্রাঃ) হাসপাতালে চলছে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা কতটাই নাজুক তা যদি জানার প্রয়োজন হয় তাহলে শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রাইভেট ক্লিনিক গুলো পর্যবেক্ষণ করলেই জানা সম্ভব।অথচ মানুষের মৌলিক চাহিদগুলোর এক অন্যতম অংশই হল এই চিকিৎসা ব্যবস্থা। যেখানে মানুষের মৌলিক চাহিদাই মুখ থুবড়ে থাকে সেখানে চাহিদা নামক শব্দটাই তো বেমানান।বর্তমানে কালীগঞ্জে যেসকল প্রাইভেট ক্লিনিক রয়েছে তার ভেতর মুষ্টিমেয় কিছু ক্লিনিক ছাড়া বাকী যেগুলো আছে সেই ক্লিনিকগুলোরই চিকিৎসার প্রয়োজন। জরাজীর্ণতা আর রোগীভোগান্তীই হল সেসকল ক্লিনিকের বৈশিষ্ট্য।কালীগঞ্জে যতোগুলো ক্লিনিক আছে সেগুর মধ্যে সবচেয়ে সমালোচিত ক্লিনিকের নাম হচ্ছে ইসলামী প্রইভেট হাসপাতাল।কালীগঞ্জ নিমতলা বাসস্ট্যান্ডের এক জরাজীর্ণ পরিবেশে ক্লিনিকের অবস্থান।ক্লিনিকের পরিবেশ দেখলেই প্রথমে মনে হবে এটা হয়তো কোন এক আলুর
গোডাউন।একটি ক্লিনিক বা হাসপাতালের জন্য যা যা প্রয়োজন তার কিছুরই দেখা মিলবে না এখানে।নেই স্থায়ী
কোন ডাক্তার বা নার্স।ভারাটে ডাক্তার দিয়ে চলে এই ক্লিনিকের চিকিৎসা সেবা।বারবার জরিমানা গুনেও
বহাল তবিয়তে করে যাচ্ছেন চিকিৎসা বানিজ্য।রিপোর্ট সংগ্রহ করতে গিয়ে কথা হয় এক রোগীর আত্মীয়ের
সাথে।তার নাম পারভেজ সুমন।জিনি বর্তমানে বাংলাদেশের নাটক পাড়ার একজন আলোচিত মুখ।গত
০৩/০৫/২০১৯ ইং তারিখে পারভেজ সুমন তার মাকে ভর্তি করেন ইসলামী প্রাইভেট হাসপাতালে জরায়ুতে
টিউমার অপারেশন করার উদ্দেশ্যে।সেদিন রাতেই অপারেশন করার কথা থাকলেও হাসপাতাল কতৃপক্ষ ডাক্তার
ভাড়া না করতে পারাই অপারেশন করতে অক্ষম হন।জানান অপারেশন করা হবে পরেরদিন সকাল ৮ টাই।কিন্তু সকালেও ব্যর্থ হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, ডাক্তারের সিডিউল মিললে অপারেশন হবে।অথবা রোগীকে নিয়ে অন্য কোথাও অপারেশনের পরামর্শ দেন।পরবর্তীতে পারভেজ সুমন তার মাকে রিলিজ করে ঐদিনই কালীগঞ্জের আর একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করান।রাত ১০ টাই
অপারেশন করার জন্য যা যা ব্যবস্থা করা প্রয়োজন ছিল সেগুলো সম্পন্ন করেন।আর ভোগান্তীটাই শুরু হয়
তখনই।ইসলামী প্রাইভেট হাসপালের মালিক মোঃসুমন কালীগঞ্জ ক্লিনিক মালিক সমিতিতে অভিযোগ প্রদান
করলে ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতাল কতৃপক্ষ অপারেশন করতে পারবেন না বলে জানান।রোগীর আত্মীয় স্বজন
রা কারন জানতে চাইলে কতৃপক্ষ জানান অপারেশন করলে সমিতি থেকে তাদেরকে আর্থিক জরিমানা করা
হবে।এই ব্যাপারে ক্লিনিক মালিক সমিতির সেক্রেটারি মোঃ গোলাম রব্বানীর সাথে ভুক্তভোগী রোগীর ছেলে
কথা বললে তারা জানান সকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।শেষ পর্যন্ত রোগীর আর অপারেশন করা সম্ভব হয়নি।
রোগীকে নিয়ে এই ছিনিমিনি খেলার অধিকার আসলেই কি কোন ক্লিনিক বা ক্লিনিক মালিক সমিতির
আছে?সর্বশেষে ভুক্তভোগী রোগীর ছেলে পারভেজ সুমন ক্লিনিক মালিক সমিতি এবং যথাযথ কতৃপক্ষের
কাছে এই ভোগান্তির যথাযত বিচার দাবী করেন।তিনি আরও জানান তার মায়ের কিছু হলে এই দায়ভার কে নেবে? ক্লিনিক মালিক মোঃ সুমন? না ক্লিনিক মালিক সমিতি?