মোঃ শাহারুল ইসলাম রাজ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৯ নাম্বার হাজিরবাগ ইউনিয়নের মাটি কোমরা গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র আব্দুল লতিফ (৩৫) তিনি একজন কুল চাষী, দির্ঘদিন ধরে কুল চাষ করে আসছেন, কিন্তু কুল চাষে ভাল লাভ জনক না হওয়ায় বিকল্প পন্থায় সাথী ফসল হিসাবে নিজ প্রচেষ্টায় ঝিকরগাছার মাটিতে তিনিই যেন প্রথম তরমুজ চাষ করছেন বলে জানাযায়। জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন কুল চাষে ভাল লাভ না পেয়ে বিকল্প পথ খুজতেছিলাম,এই ব্যপারে ঝিকরগাছা কৃষি অফিসারের নিকট পরামর্শ চাইলে ভাল কোন পরামর্শ পাইনি, যে পরামর্শ দিছে সেটা আমার পছন্দ হয়নি। তখন আমি নিজে ভাবছি কি করা যায়।কুলচাষের সাথী ফসল কি করব,ভেবে নিজেই ঝুকি নিয়ে গত বছর আগে তরমুজ চাষ শুরু করি, তিনি আরও বলেন তরমুজ গাছের বিজ রোপন থেকে শুরু করে ২০ থেকে ২৫ দিনে মাধ্যে ফল আসে, ষাট থেকে পয়ষট্রি দিনে ফল ভাঙ্গা যায়, আর যে সময়টাতে তরমুজ চাষ হয় সে সময় কুলের কোন ক্ষতি হয় না,বরং তরমুজ চাষ করলে কুল গাছ সার,পানি ও ভাল ভাবে পাই । সাথে শশা বা ক্ষিরাই চাষ তো তার সাথে এক প্রকার বোনাস হিসাবে আছেই। আব্দুল লতিফ আরো বলেন যে আমি তিন বিঘা জমিতে কুলের সাথে সাথী ফসল হিসাবে তরমুজ ও শশা চাষ করছি, তাতেই আমি সাবলম্বী, বর্তমানে আমি সুখেই আছি। তবে সরকার যদি আমাদের মত ক্ষুদ্র চাষীদের স্বল্প মুল্যে কিছু ঋন দেওয়ার ব্যবস্থা করত তাহলে চড়া সুদে এনজিওর নিকট থেকে ঋন নেওয়া লাগতো না। আমাদের একটু সুবিধা হত। তরমুজের মূল্য জানতে চাইলে বলেন, আমরা চাষী চাষ করি কিন্তু কোন ফসলের ন্যয্য মূল্য পাই না, যারা মুলত সেন্টিগেট করে রেখেছে আমরা তাদের নিকট জিম্মি, প্রশাসন ও সরকারের নিকট দাবি করব যেন এই সেন্টিগেট ভেঙ্গে দেয়, তাহলে আমরা চাষীরা ন্যয্য মূল্য পাব আশা করি,আমরা ক্ষেত থেকে ২০-২৫ টাকা দরে তরমুজের দাম পায় বাকিটা সেন্টিগেটের দখলে। আব্দুল লতিফের চাষে সহযোগী তার বাবা ও ভাই বলেন আমরা চাই যে আমাদের মত আরো অনেকে এই ভাবে বিভিন্ন ফসলের সাথে সাথী ফসল হিসাবে চাষ করুক, আর সরকার চাষীদের প্রতি নজর দিক ও সবাই যারা কুল চাষী তারা কুলের সাথে পাশা পাশি সাথি ফসল হিসাবে চাষ করুক।