স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কেঁড়াগাছি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান
প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর সমার্থকদের সংঘর্ষে ৯ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতরা
কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
রয়েছেন। এ ঘটনায় ৪ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে, রবিবার(৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে
উপজেলার ৫ নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন
এলাকায়। জানা গেছে, আসন্ন কেঁড়াগাছি ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ মনোনিত নৌকা
প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ভূট্টোলাল গাইনসহ কর্মী- সমার্থকরা ওই দিন
রাতে গণসংযোগ করছিলেন। একই সময় একই এলাকায় চেয়ারম্যান পদে আনারাস
প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিলসহ
কর্মীরা ভোট প্রার্থনায় প্রচার- প্রচারনায় ছিলেন। এরই মাঝে এক পর্যায়ে
উভয় প্রার্থীর কর্মী- সমার্থকদের মধ্যে বচসাসহ হাতাহাতি ও মারপিট শুরু
হয়। পরে স্থানীয়রা মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্তদের কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে
নিয়ে এসে ভর্তি করেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ভুট্টোলাল গাইন জানান,
মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯ ব্যক্তি সকলেই হলেন
তার কর্মী ও সামর্থক। চিকিৎসারত ব্যক্তিরা হলেন, বোয়ালিয়া গ্রামের নৌকার
প্রার্থী ভুট্টোলাল গাইন, তারই সমার্থক ফারুক গাজী(৫৭), সাঈদ
হোসেন(২৫),আব্দুল বারিক(৪৮), মন্টু(৩৫), বৃষ্টি খাতুন(২০)। মারাত্মক আহত
অপর ৩ ব্যক্তি হাবিবুর রহমান (৩২), সিরাজুল গাজী (৪৫) ও আনেছা বেগম ৫৫)কে
উন্নত চিকিৎসায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা যায় ।
সোমবার(৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ২-১৯ মিঃ এ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মীর
খায়রুল কবিরের অফিসে যেয়ে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
রবিবার(৫ সেপ্টেম্বর) রাতে মারপিটের ঘটনা ঘটলেও কেউ বাদি এখনও পর্যন্ত
কোন মামলা দায়ের করেননি। মামলা দায়ের হলে তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি
জানাবেন বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি জানান, মারপিটের এই ঘটনায় ৪ জনকে
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তারা হলেন, বোয়ালিয়া
ইউনাইটেড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বদরুর রহমান বাদল, নির্বাচনে ইউপি
সদস্য প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, সদস্য প্রার্থী জিয়াউর রহমান ও বড় খোকন।
এদিকে সোমবার বেলা ১-৪৫ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় নৌকার
প্রতিকের প্রার্থী ভূট্টোলাল গাইন বলেন, তার প্রতিদ্বন্দী আনারস প্রতীকের
স্বতন্ত্র প্রার্থী আফজাল হেসেন হাবিল ও মোটর সাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র
প্রাথী মারুফ হোসেন পরিকল্পিতভাব আমার কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, তার সহধর্মিনী শ্যামলী রানী গাইন বাদি হয়ে কলারোয়া থানায়
একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে, ইউপি চেযারম্যান পদে স্বতন্ত্র
প্রার্থীদ্বয়ের সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের মতামত নেয়া
সম্ভব হয়নি।