খুলনায় ব্যাংক কর্মকর্তাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত

0
1

কণ্ঠ  ডেস্ক : ১৬ জুলাই, ২০১৯ –

খুলনায় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানাকে গণধর্ষণের পর তার বাবা ইলিয়াছ আলী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ৩নং ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন স্পেশাল পিপি অ্যাড. ফরিদ
আহমেদ।

এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তার জন্য ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষে অ্যাডভোকেট কাজী সাব্বির আহমেদ, অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট তসলিমা খাতুন, অ্যাডভোকেট কুদরত ই খুদা।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো খুলনা নগরীর লবণচরা থানাধীন বুড়ো মৌলভীর দরগা রোডের বাসিন্দা শেখ আব্দুল জলিলের ছেলে সাইফুল ইসলাম পিটিল (৩০), তার ভাই মো. শরিফুল (২৭), মো. আবুল কালামের ছেলে মো. লিটন (২৮), অহিদুল ইসলামের ছেলে আবু সাইদ (২৫) ও মৃত সেকেন্দারের ছেলে মো. আজিজুর রহমান পলাশ (২৬)। এদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামি শরিফুল পলাতক রয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের মামলায় ২২ জন ও গণধর্ষণ মামলায় ২৮ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। আসামিদের মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ২ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা রয়েছে। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ৩নং ট্রাইব্যুনালে মামলাটির যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) শুরু হয়। মামলার তদন্ত চলাকালে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ৫ জনের মধ্যে ৪ জন গ্রেপ্তার হয়।

এ ছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয় পিটিলের স্ত্রী আসমা খাতুন, নোয়াব আলি গাজী ও আসলাম মিস্ত্রি নামের একজন সন্দেহভাজনকে। তাদের মধ্যে লিটন ও সাঈদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে উঠে আসে লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।

তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দীতে বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন অফিসে আসা-যাওয়ার পথে আসামিরা কুপ্রস্তাবসহ নানাভাবে যৌন হয়রানি করতো। এর প্রতিবাদ করায় ঘটনার দিন রাতে বাড়ির দেয়াল টপকে ভিতরে প্রবেশ করে ৫ আসামি। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পারভীনের বাবাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পাশের রুমে থাকা পারভীনকে ৫ জন মিলে গণধর্ষণের পর হত্যা করে সেফটি ট্যাংকির মধ্যে বাবা ও মেয়ের মরদেহ ফেলে দেয়। পরে ঘরে লুটতরাজ চালিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here