খুলনা প্রতিনিধি :খুলনা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও সময়ের খবর সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম, রিপোর্টার নূর ইসলাম রকি,দৈনিক খুলনা টাইমস্ সম্পাদক সুমন আহমেদসহ খুলনার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমুলক সকল অভিযোগ ও মামলা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলার ঘোষণা দিয়েছেন কর্মরত সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। খুলনায় কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম হাবিব।
বক্তারা বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তের বরাত দিয়ে সম্প্রতি সময়ের খবরে খুলনা রেলস্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকারের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্থ-সম্পদের ফিরিস্তি তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করায় আদালতে হয়রানিমুলক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এ অভিযোগ দাখিল করে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধপন্থায় উপার্জিত সম্পদের কি তিনি বৈধতা দেবার পথ খুঁজছেন? সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি ঢাকতে সরকারের বিরুদ্ধে কি খুলনা স্টেশন মাস্টার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন? অবিলম্বে দুর্নীতির দায়ে তাকে বরখাস্ত করে দুদকের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে স্টেশনমাস্টার মানিক চন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন দেখতে চায় খুলনাবাসী।
দৈনিক সমকাল ও পূর্বাঞ্চলের স্টাফ রিপোর্টার আবুল হাসান হিমালয়ের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক পরিষদ খুলনার সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক প্রবর্তন সম্পাদক মোঃ মোস্তফা সারোয়ার, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মামুন রেজা, এনটিভি’র ব্যুরো প্রধান মুন্সি আবু তৈয়ব, দৈনিক খুলনাঞ্চল সম্পাদক মিজানুর রহমান মিলটন, আমার একুশে’র সম্পাদক ও বাংলাভিশনের খুলনা ব্যুরো প্রধান মোঃ আতিয়ার পারভেজ, খুলনা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ রাশিদুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার মোঃ আনিসুজ্জামান ও হাসান আহমেদ মোল্যা, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের ব্যুরো প্রধান মুহাম্মদ শামসুজ্জামান শাহীন, দৈনিক যুগান্তরের ব্যুরো প্রধান মোস্তফা কামাল আহমেদ, খুলনা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ রফিউল ইসলাম টুটুল ও সহকারী সম্পাদক এমএ জলিল, দৈনিক নয়াদিগন্তের ব্যুরো প্রধান মুহাম্মদ এরশাদ আলী, দৈনিক কালের কণ্ঠ’র নিজস্ব প্রতিবেদক কৌশিক দে বাপী, দৈনিক সংগ্রামের ব্যুরো প্রধান আব্দুর রাজ্জাক রানা, প্রথম আলো’র ব্যুরো প্রধান শেখ আল এহসান, আমাদের সময়ের খুলনা প্রতিনিধি এসএম কামাল হোসেন, সময়ের খবর পরিবারের পক্ষে মফস্বল সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, চিফ রিপোর্টার ও ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি’র ব্যুরো প্রধান এএইচএম শামিমুজ্জামান, আমার দেশ’র ব্যুরো প্রধান ও ব্যাচ-৯৩ বন্ধুমহলের পক্ষে এহতেশামুল হক শাওন, খুলনা ক্রাইম রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এইচএম আলাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সোহাগ দেওয়ান, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ ও ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের রিপোর্টার অভিজিৎ পাল, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন খুলনার সভাপতি বাপ্পী খান, খুলনা রিপোর্টার ইউনিটি’র সাধারণ সম্পাদক ও আলোকিত বাংলাদেশ’র প্রতিনিধি মুহাম্মদ নুরুজ্জামান, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি নিয়ামুল হোসেন কচি ও রকিবুল ইসলাম মতি, ডুমুরিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, রূপসা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ভোরের ডাক’র ব্যুরো প্রধান এসএম মাহবুবুর রহমান, দৈনিক ইনকিলাবের ব্যুরো প্রধান আবু হেনা মুক্তি, চ্যানেল নাইনের আরাফাত হোসেন রুমি, এশিয়ান টিভি’র বাবুল আক্তার, দৈনিক প্রবর্তনের স্টাফ রিপোর্টার হারুনুর রশিদ, দৈনিক পূর্বাঞ্চলের স্টাফ রিপোর্টার আহমদ মুসা রঞ্জু, সময়ের খবর’র সহ-সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা জিএম মওলা বক্স ও সাইফুল ইসলাম বাবলু, নিজস্ব প্রতিবেদক আশরাফুল ইসলাম নূর, আব্দুল্লাহ এম রুবেল, আল মাহমুদ প্রিন্স, এসএম আমিনুল ইসলাম ও ফটো সাংবাদিক আর.জি উজ্জল, দৈনিক প্রবাহের মাকসুদ আলী, বিমল সাহা, কামরুল হোসেন মনি, নাজমুল হাসান, আহাদ আলী ও ফটো সাংবাদিক মামুন রেজা, দৈনিক স্পন্দন’র ব্যুরো প্রধান শিশির রঞ্জন মল্লিক, দৈনিক প্রবর্তনের ফটোসাংবাদিক নাজমুল হক পাপ্পু, দৈনিক তথ্য’র বার্তা সম্পাদক নূর হাসান জনি, প্রথম আলো’র সাদ্দাম হোসেন, দৈনিক জন্মভূমি’র কাজী শান্ত, দৈনিক পাঠকের পত্রিকার এইচ.ডি হেলাল, সময়ের খবরের তেরখাদা প্রতিনিধি রাসেল আহমেদ, ডুমুরিয়া প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম ও মাহাবুবুর রহমান প্রমুখ।
সংহতি প্রকাশ করেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন আন্দোলনের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন, পোল্ট্রি ফিস ফিড মালিক সমিতির মহাসচিব মোঃ সোহরাব হোসেন, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির নেতা মিজানুর রহমান জিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে খুলনার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা।