কিশোরগঞ্জে ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বয়ান করায় মসজিদের ইমামকে চাকুরিচ্যুত

0
1

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নামাজ শেষে ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বয়ান করায় মসজিদের ইমামকে নামাজ পড়াতে নিষেধ করার অভিযোগ উঠেছে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

গত রবিবার (১৬ এপ্রিল) তারাবিহ নামাজ শেষে ইমাম সাহেব মোনাজাতে ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে বয়ান করায় পরদিনই উক্ত ইমাম হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিনকে নামাজ পড়াতে নিষেধ করা হয় বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ইঞ্জিনিয়ার জুলফিকারের নির্দেশে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্টোর কিপার আবদুল বাতেন ইমামকে বরখাস্ত করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন বলেন, গত শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় ঘুষ এবং দুর্নীতি নিয়ে বয়ান দেন তিনি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ঘুষ এবং দুর্নীতির বিষয়ে ইসলামের অবস্থান তুলে ধরেন। ঘুষ-দুর্নীতি ছেড়ে তওবা করার কথাও বলেন। এ কারণে পরে পল্লী বিদ্যুতের জিএম ইঞ্জিনিয়ার জুলফিকার তাঁকে সতর্ক করেন।

তিনি বলেন, সব বাধাবিপত্তি পেরিয়ে যেন ফাইলপত্র দ্রুত ছাড়া পায় সে জন্য রোববার তারাবিহর সময় আমার কাছে কয়েকজন ঠিকাদার দোয়া চেয়েছেন। এ বিষয়ে দোয়া করায় আমাকে মসজিদে নামাজ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার মো. শামীম মিয়া বলেন, ঠিকাদার জসিম, সোহেলসহ আমরা তারাবিহর নামাজ পড়তে গেলে হুজুরের সঙ্গে কথা হয়। তখন ফাইল যেন তাড়াতাড়ি ছুটে যায় এ ব্যাপারে হুজুরের কাছে দোয়া চাই। হুজুর মোনাজাতে এসব নিয়ে দোয়া করলেন। আর এই অপরাধে উক্ত মসজিদে এখন হুজুরের চাকরি নেই।

তবে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ইঞ্জিনিয়ার জুলফিকার বলছেন, ‘ইমাম সাহেব প্রায়ই মসজিদে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী বক্তব্য দেন। এ কারণে তাঁকে নামাজ পড়াতে নিষেধ করা হয়েছে। তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়নি।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here