কলারোয়ায় ছাত্রনেতা তুষারের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করা হবে নবাগত ওসির প্রথম চ্যালেঞ্জ – এএসপি মেরীনা আক্তার

0
0

ফিরোজ জোয়ার্দ্দার-ঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম মনজুর মোর্শেদ তুষারের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে ডান হাতের কব্জি কেটে নেয়ার ঘটনায় জড়িত সকল আসামীদের কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের মদদদাতা, আশ্রায় প্রশ্রায় দাতা ও যত বড় পদে শক্তিশালী হোক না কেন তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে কেহ কখনো রেহাই পায়নি তারাও রেহায় পাবে না। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পুলিশের আইজি মহাদয় ড. জাবেদ পাটোয়ারী এবং জেলা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান এ হামলার বিষয়ে ব্যাপক উৎবিগ্ন। হামলার মুল হোতাসহ এজাহারনামী আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবুও আমি বলে যেতে চাই সন্ত্রাসী হামলার শিকার তুষারের উপর হামলাকারী আসামীদের গ্রেফতার করাই হবে নবাগত অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর উল গীয়াসের প্রথম চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে থানার ওসিকে এগিয়ে যেতে হবে। কোন ভাবেই আসামীদের অবস্থান শনাক্ত করা গেলে আপনারা পুলিশকে সহযোগিতা করেন। এ সকল আসামীরা শুধু দলের সুনাম নষ্ট করে না সরকারের ভাবমূর্তিও নষ্ট করে ফেলেন। সন্ত্রাসীদের কোন দল নেই তারা যানে শুধু সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে সাধারণ মানুষের শান্তি নষ্ট করতে। এ লক্ষে পুলিশ আসামীদের ধরতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং অতিদ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে ওপেন হাউস ডেতে আশ্বাস্ত করেন এএসপি সদর সার্কেল মেরীনা আক্তার। বুধবার (২৯ ই মে) সকাল ১০টার দিকে কলারোয়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর-উল-গীয়াসের সভাপতিত্বে থানা চত্বরে ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত হয়। কলারোয়া থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব হোসেনের পরিচালনায় পবিত্র কুরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে আয়োজিত ওপেন হাউস ডে’তে প্রধান অতিথী হিসেবে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মেরীনা আক্তার তার বক্তৃতায় আরোও বলেন, মাদক ব্যবসার সাথে যত বড়ই রাঘব বোয়াল জড়িত থাকুক না কেন তাকেও ছাড় দেয়া হবে না। এমনকি কলারোয়াতে পুলিশের কোন সদস্য মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত কিংবা সেবনের সহায়তায় করে থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের সমাজ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, ইফটিজিং ও বাল্য বিবাহ নির্মূল করতে হবে। আর এসব একেবারেই নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না যতক্ষণ পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা পুলিশকে সহযোগিতা না করবেন ততক্ষণ চলতে থাকবে। তাই এসবের বিরুদ্ধে আপনাদের আরো কঠোর ভূমিকায় থাকতে হবে। তাছাড়া যারা নিজেদের মধ্যে দলীয় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে একে অপরের রোনালসে পড়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বেকায়দায় ফেলতে চান। তারা পুলিশকে অযথা বিপদে না ফেলে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রেখে আপনাদের কঠোর ভাবে প্রতিহতো করতে হবে। আইন- শৃঙ্খলা স্বাভাবিক ও কলারোয়া মানুষকে শান্তিতে বসাবস করার জন্য পুলিশ বাহিনীকে এখন যা যা করা দরকার তাই করতে বদ্ধ পরিকর পুলিশ। সমাজে অন্যায় মূলক কাজে সবচেয়ে আগে পাশে পাওয়া যায় পুলিশ বাহিনীকে। পুলিশের সমালোচনা না করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে দেখবেন সমাজ থেকে সকল অপরাধ কর্মকান্ড কমে যাবে। জনগনের যান মালের হেফাজত করতে পুলিশ নিজেদের জীবন বাজি রেখে সেটা রক্ষা করে চলেছেন। কিন্তু কিছু অসৎ পুলিশের কারণে সারা পুলিশ বাহিনীকে বদনামের ভাগিদার হতে হয়। এমন অবস্থায় পুলিশ বাহিনীতে চলতে দেয়া যাবে না। পুলিশের সুনাম কেহ নষ্ট করতে চাইলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশের কোন সদস্য টাকার বিনিময়ে সঠিক তদন্ত রির্পোট পেশ না করে সাধারণ মানুষকে যদি হয়রানী করার চেষ্টা করেন তাহলে সেই পুলিশকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে আইনের আওতায় আনা হবে। জন্ম যেদিন গ্রহন করেছেন সেই দিন থেকে আপনার জন্ম তারিখ সরকারের খাতায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। রোটারী পাবলিকের মাধ্যমে জন্ম তারিখ বাড়ানো বা কমানোর কোন সুযোগ নেই। আর রোটারী পাবলিকের মাধ্যমে কোন অপ্রাপ্ত ছেলে মেয়েদের বয়স বাড়িয়ে দিয়ে বাল্য বিবাহ বা তালাক দিতে পারবেন না। যদি এমন কোন ঘটনা রোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ঘটে থাকে তাহলে কাগজপত্র ছিড়ে দিয়ে সরাসরী আইনের আশ্রায় নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া এলাকাতেই ছোট খাট সমস্যগুলা পুলিশিং কমিটি’র প্রতিনিধি বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। কারণ যাতে করে সাধারণ মানুষ স্থানীয় আদালতের উপর আস্তা রাখতে পারেন। জিডি হলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। থানায় যান মালের নিরাপত্তার জন্য কেহ জিডি করতে আসলে তাকে হয়রানী না করে সেদিক লক্ষ্য রেখে পুলিশ কাজ করে যাবেন। পুলিশিই জনতা, জনতাই পুলিশ- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ জনগনের সেবা দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য সর্বাত্নক সকলের সহযোগিতা পুলিশের একান্ত কাম্য। পুলিশকে সঠিক তথ্য দিয়ে জনগনের সেবা করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে আহবান রাখেন সদর সার্কেল মেরীনা আক্তার। আয়োজিত ওপেন হাউস ডে’তে বিশেষ অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক সম মোর্শদ আলী, সাবেক অধ্যাক্ষ এমএ ফারুক, ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ, ইউপি চেয়ারম্যানগন শামসুদ্দিন আল মাসুদ বাবু, শেখ ইমরান হোসেন, আফজাল হোসেন হাবিল, এসএম মনিরুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম মনি, আলহাজ্জ্ব আব্দুল হামিদ সরদার, গাজী মাহবুবুর রহমান মফে, রবিউল হাসান ও ইউপি সদস্য ওসমান গনীসহ থানার সকল অফিসারবৃন্দ ও সূধীজন প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here