কলারোয়ায় পবিত্র রমজানে খাদ্যদ্রব্যের মুল্যে উর্ধগতি।জনমনে অসন্তোষ

0
0

সরদার কালাম (কলারোয়া) – পবিত্র রমজান মাসে খাদ্য দ্রব্যের উর্ধ্বগতী এটা নতুন কিছু নয়,এমন ঘটনা প্রতি বছরই ঘটে থাকে। কিন্তু,এবারে কৃষক থেকে সকল সাধারণ মানুষের মধ্যে নেই কোন সস্তি,যার মূলে দাড়িয়েছে কৃষি পন্যের দাম বাজার শুয়া এবং সাধারণ বিভিন্ন কর্মজীবি মানুষের রোজগারের ভাগও অনেকাংশে কম।কৃষকদের কৃষি পন্য ধানের বাজারদর সন্তোষজনক নেই।লসের মধ্যে অধিকাংশ কৃষকেরা।তারপরেও রমজানের খাদ্য চাহিদা মেটাতে হবে পরিবারের প্রতিটি মানুষের।কিন্তু বাজারে ধানের দাম ৭’শ-৭’শ৫০ টাকা আর পাকাকলার দাম ২৪’শ টাকা মন (কেজি ৬০ টাকা দরে )বিক্রি হচ্ছে। বিধায় কলারোয়ার প্রতিটি ইউনিয়নে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য সামগ্রির মূল্য বৃদ্ধিতে অসন্তোষ ও অশান্তি বিরাজ করছে সকল শ্রেণীর ভোক্তা সাধারণের মাঝে। রমজানের আগ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রির মূল্য বৃদ্ধিতে এ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। হাত-পা বাধা ও অসহাত্বের মতো নিরুপায় হয়ে প্রয়োজনের তাগিদে ক্রেতারা বেশি দামে এগুলো কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।গুটি কয়েক অসাধু পাইকরী ও খুচরা বিক্রেতারা অধিক মুনাফার প্রত্যাশায় এ সকল পণ্য সামগ্রি বেশি দামে বিক্রি করছেন বলে দাবি ক্রেতাসাধারনের।বাধ্য হয়ে অনেক খুচরা ব্যবসায়ীরাও আগের দামের চেয়ে বেশি দামে খাদ্য সামগ্রি বিক্রি করছেন। রমজান মাসে রোজাদারদের জন্য যে খাদ্য সামগ্রিগুলো বেশি চাহিদাপূর্ণে- ছোলা,চিনি,খেজুর,গুড়,পাকাকলা,চিড়া, মুড়িসহ অন্যান্য প্রতিটি খাদ্যপণ্যের মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।গেলো কয়েক দিনের ব্যবধানে এগুলো কেজিপ্রতি ৫টাকা থেকে শুরু করে ২০/৩০টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।ক্ষেত্রবিশেষে দ্বিগুনও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান ভোক্তা সাধারণ। আর লিখিত আকারে প্রদর্শন করা নিয়ম থাকলেও সিংহভাগ দোকানগুলোতে নেই কোন মূল্যতালিকা।কাঁচাবাজারগুলোতে’ত মূল্য তালিকার প্রশ্নই আসেনা। স্বাভাবিক ভাবেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বাজার ও মোড়ে মোড়ে জমে উঠেছে কেনাকাটা।গুড়,পাটালি ও কলার দোকানে কেনাকাটার উপচে পড়া ভিড় লক্ষনীয়। ৯ই মে বৃহস্পতিবার উপজেলার খোরদো বাজারসহ এর আগে বিভিন্ন বাজারঘুরে দেখা যায়- গুড় বা পাটালি কেজি প্রতি ৭০/৭৫ টাকা থেকে ৮০/১০০টাকা হয়েছে। কয়েকদিন আগেও সাগর কলার দাম ছিলো কেজিপ্রতি ২৫টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা এবং ৩৫টাকার মর্তমান কলার এখন মূল্য ৬০/৬৫ টাকা।১০০ টাকার খেজুর হয়েছে কমপক্ষে ১২০টাকা আবার ক্ষেত্রভেদে২৫০-৩০০টাকা। প্রতিপিচ ৩/৫টাকার কাগুজি লেবুর দাম বেড়েছে ৭/১০টাকা।সাইজ অনুযায়ী দামেও বৃদ্ধি রয়েছে। এছাড়া বৃদ্ধিতে রয়েছে পল্ট্রি ডিম থেকে শুরু করে-তৈল,চিনি,ছোলা, বুট, চিড়া,দেশী – ভারতীয় পিয়াজ, শশা, রসুন,শুকনো ঝাল, কাচা ঝাল,বেগুন, কাচাকলা,পাকাকলা,মিষ্টি কুমড়ো,আলুসহ সকল কাঁচামাল, এমনকি খাসির মাংস,গরুর মাংস, পল্ট্রিসহ মাছ পর্যন্ত দ্রব্যে মূল্যের বৃদ্ধি থেকে একসুত সরে দাড়াইনি। এদিকে উপজেলার খোরদো বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের কয়েকজন কলা ব্যবসায়ী জানান-কলা মার্কেটগুলোতে কিনতে গেলে আগুন,,বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে বেশি দামেই বিক্রি করছি।। একাধিক ক্রেতাসাধারনেরা জানান- রমজানকে পুজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা করছে।ভেবেছিলাম আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে পন্যের স্বাভাবিক মুল্য,কিন্তু রমজানের তিন রোজা পেরিয়ে গেলেও কমেনি খাদ্য পণ্যের দাম।৭’শ টাকা মন ধান বিক্রি করে ৬০ টাকা কেজি ২৪’শ টাকা মন) পাকাকলা এই রমজানে খাদ্য চাহিদা মেটাতে কিনতে হচ্ছে বলে জানান একাধিক সাধারণ কৃষকেরা। বাজারে পন্যের অস্বাভাবিক এই মূল্য বৃদ্ধিতে অসন্তোষ প্রকাশে বাজারের দিকে নজর দিয়ে পণ্যের দর স্থিতিশীল রাখার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here