কলারোয়ায় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও বাটপারদের কোনো স্থান হবেনা- কাজী শাহাজাদা

0
1

ফিরোজ জোয়ার্দ্দার-ঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলাতে কোন দালাল- বাটপার ও চাঁদাবাজদের স্থান নেই। ১৫ ই অাগস্ট জাতীয় শোক দিবসের নামে কোন দূর্বৃত্ত যদি চাঁদা আদায় করেন তাকে তৎক্ষনিক পুলিশে ধরিয়ে দিতে হবে। যারা জাতীয় পিতার নাম করে চাঁদাবাজি করে তাতে শুধু দলের বদনাম হবে না নিজেদেরও বদনামের ভাগিদার হতে হয়। এ দূসময়ে যারা বঞ্চিত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা আছেন তাদের সাথে আমি আছি থাকবো এবং চাঁদাবাজদের প্রতিহতো করবো। ১৫ ই আগস্ট জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথী’র বক্তৃতায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদা এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (১লা আগস্ট) বিকালে সরকারী গার্লস পাইলট হাইস্কুল চত্বরে উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের উদ্দ্যোগে পবিত্র কুরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে প্রস্তুতি সভা জনসমুদ্রে পরিনত হয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথী’র বক্তৃতায় তিনি বলেন, দলীয় ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সকল নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে একত্রে সাংগঠনকে গতিশীল ও শক্তিশালী করে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আহবান করেন। তাছাড়া যারা নৌকার বিপক্ষে গিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছেন সেই দূর্বৃত্তদের কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে যারা জামায়াত-বিএনপি’র মদদ দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীকে জয়ী করেছেন তারা হাইব্রিড আওয়ামীলীগে পরিনত হয়েছে। তাদের নামে রয়েছে থানায় একাধিক নাশকতা মামলা। পুলিশ তাদেরও ছাড় দেবে না। প্রধানমন্ত্রী লন্ডন সফর শেষে দেশে ফেরার পর বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন সেটি মাত্র সময়ের অপেক্ষায়। উপজেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক লাঙ্গলঝাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার নূরুল ইসলামের পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় ১৫ ই আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের পর আওয়ামীলীগ পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং জাতীয় পিতার মৃত্যুর পরে যারা জীবন দিয়ে আওয়ামীলীগকে সু-সংগঠিত করেছেন তাদেরকেও স্মরণ করে ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদা বলেন, সুজলা,সুফলা,শষ্য শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ। কিন্তু বিষয়ের সাথে লক্ষ্য করেছি যে ২৪ শে মার্চ উপজেলা নির্বাচনে পর কলারোয়াতে কি ঘটনা ঘটেছে সেগুলো আপনি আমি সবাই অবগতি রয়েছে। কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিনের সাথী কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন, ফারুক স্যার ও আশরাফ হোসেন সোনা কাজীর মতো নেতাদের প্রচেষ্টায় আওয়ামীলীগ সু সংগঠিত হয়েছিলো কলারোয়াতে। তাদের রক্তে আমাদের গায়ে প্রবাহিত হয়ে যখন দেখি প্রিয়নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার আসামীসহ একাধিক নাশকতা মামলার আসামীরা চোখের সামনে বসে থাকেন নিজেদের বাঁচাতে। যারা ২০১৩-১৪ সালে দেশকে অস্থিতিশীল করে যুবলীগ নেতা জর্জ আলীসহ চারটি তাজা প্রান হত্যা করেছিলো সেই সমস্ত জামায়াত- বিএনপি’র ক্যাডাররা সামনে আসলে প্রতিবাদ করতে থাকি। কিন্তু সেটা পেরে উঠা যায় না শুধুমাত্র উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুর কারণে। তিনি জামায়াত-বিএনপি’র নেতাদের মদদ দিয়ে আওয়ামীলীগকে ঘায়েল করে কলারোয়াতে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কিন্তু এ আওয়ামীলীগের সংগঠন আপনার আমার সংগঠন। প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনা সারাদিন পরিশ্রম করে সারা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে জন্য কাজ যাচ্ছে আর আমিনুল ইসলাম লাল্টু জামায়াত-বিএনপি’র নেতা কর্মীদের অাশ্রয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আমি ভাইস চেয়ারম্যান হতে চাইনি জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুদ্র আওয়ামী লীগের কর্মী হয়ে আপনাদের সাথে থাকতে চাই। কলারোয়ার এই জনপদে চাঁদাবাজ, বাটপার, মাদক, সন্ত্রাস ও হাইব্রিড আওয়ামীলীগের রাজত্ব চলবে না। শুধু চলবে আওয়ামীলীগের রাজত্ব। তার উপজেলাতে যদি কেহ চাঁদাবাজি, বাটপারি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেন অবশ্যই আপনাদের সাথে নিয়ে তাদের মোকাবেলা করা হবে। দালালি বাটপারি করে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন করা হলে তা প্রতিহতো করতে হুশিয়ারী দেন। সম্প্রতি আপনারা জেনেছেন নৌকা প্রতিকে ভোট করার প্রকৃত কারণে আওয়ামীলীগের ত্যাগী কর্মী আলফাজ হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুর সোনাবাড়ীরার দুই সেনাপতি খ্যাত রুলের মদদে। ঘটনাটি ভিন্ন খ্যাতে প্রবাহিত করার পায়তারা চালাচ্ছেন তিনি। হত্যা ঘটনায় জড়িয়ে সোনাবাড়ীর দুই সেনাপতি খ্যাত রুলরা মামলায় ভবঘুরি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আমরা জন্ম থেকে আওয়ামীলীগ করি কোন হাইব্রিড আওয়ামীলীগ করি না। জামায়াত-বিএনপি’র ক্যাডাররা আগামী কাউন্সিলে হাজির হলে সেখানে তাদের উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দিতে বলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। এ দলে কোন হাইব্রীড আওয়ামীলীগ থাকবে না থাকতে পারে না। হাইব্রিড আওয়ামীলীগ সেজে ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে মনে করেছেন পার পেয়ে যাবেন সেটা মোটেও কাম্য নয়। যদি রক্তের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন করা হয় তাহলে জামায়াত- বিএনপি ও হাইব্রিড আওয়ামীলীগের হাত পা গুড়িয়ে দেয়া হবে। সুতারাং কারা জামায়াত-বিএনপিকে মদদ দিয়ে চলেছেন সেটা কলারোয়াবাসী ভাল করেই জানেন। তাই বলবো উপজেলার মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে তাদের সেবা করার জন্য। আমি সকলের পাশে থেকে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুর অনৈতিক কর্মকান্ডে প্রতিবাদ করতে চাই। তাই সকলে মিলে উপজেলাকে চাঁদাবাজ-বাটপার ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাবেন বলে আশ্বাস্ত করেন তিনি। প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের হাজার হাজার নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here