সমাজের কন্ঠ ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের নতুন হোস্টেলে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত পাঁচ ছাত্রীকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে হোস্টেলের নিচতলা ভবনের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টার দিকে হোস্টেলের নতুন ভবনের নিচতলায় আগুন লাগলে তাৎক্ষণিক আগুনের ভয়াবহতা বাড়তে থাকে। এ সময় হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীদের চিৎকারে দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ড ও স্থানীয় লোকজন এসে আগুন দেখতে পেয়ে তা নেভানোর চেষ্টা চালান।
প্রায় ১৫ মিনিট চেষ্টা করে ৬টি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও বালু দিয়ে এ আগুন নেভানো সম্ভব হয়। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে পুরো হোস্টেল ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।
এ ঘটনায় হোস্টেলে থাকা সব শিক্ষার্থী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
সিকিউরিটি মোস্তফা গণমাধ্যমকে বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি শিক্ষার্থীদের বের হওয়ার জন্য বলা হয়। ধোঁয়ার কারণে সিড়ি বেয়ে কেউই নামতে পারছিলেন না। পরে দোতলার একটি কাঁচের জানালা ভেঙে তিনি আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। পরে মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। তবে ততক্ষণে আগুন নেভানো শেষ হয়ে যায়।
আতঙ্কিত হয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের হলসুপার রিনা সরকার।
এ বিষয়ে কুমুদিনী হাসপাতালের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) অনিমেষ ভৌমিক লিটন গণমাধ্যমকে বলেন, আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে তিনি সংবাদ দেন। এ ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হননি। তবে কয়েকজন আতঙ্কিত হয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। তাদের কুমুদিনী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সুত্র – মেডিভয়েস।