মোঃ আজিজুল হক –
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ টি সরকারি খাস পুকুর ও ১৪টি ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরসহ ২৪টি পুকুর খনন করা হয়েছে এতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার
পুকুরগুলো খনন করে মৎস্য চাষের উপযোগী করে তোলা হয়। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট মৎস্য চাষীদের মৎস্য চাষে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করে উপজেলা মৎস্য দপ্তর। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুষ্ক মৌসুমে পানি সংকট দূরীকরণের লক্ষ্যে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে নংপুর বিভাগ মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ফুলবাড়ী উপজেলায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করে মৎস্য দপ্তর।
মানুষের অস্তিত্ব রক্ষায় অপরিহার্য অনুজীবসহ সকল জীবের অস্তিত্ব রক্ষা এবং মৎস্য আবাসস্থল উন্নয়ন করা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। অধুনালুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায় এ প্রকল্পের আওতায় একটি খাস পুকুর ও ১৪ টি ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুর পুনঃখননের কাজ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের সুবিধাভোগী সাইফুর রহমান, মোজাফ্ফর আলী, ছকিয়ত আলী, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল হান্নান, ছামছুল হক ও আফছাল আলী জানান, পুকুরগুলো পুনঃখননের ফলে এখন শুষ্ক মৌসুমেও পানির অভাব হবে না। ফলে সাড়া বছর পুকুরে মাছ রাখা যাবে। এছাড়াও আমরা মৎস্য অফিস থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি।
এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা লাভজনক পদ্ধতিতে অধিক পরিমানে মৎস্য উৎপাদন করতে পারবো। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য অফিসার মাহমুদুন্নবী মিঠু জানান, এ প্রকল্প জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে দারিদ্র্য বিমোচন তথা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এজন্য উপজেলা মৎস্য বিভাগ সুবিধাভোগীদের সব রকমের সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে।