ফুলবাড়ীতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী নারী নির্যাতনের অভিযোগ

0
1
আজিজুল হক নাজমুল –
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের দ্বারা এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নির্যাতিত এস্পা বেগম (৩৫) নামের ওই নারী নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড পূর্ব ফুলমতি গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী বদিয়ার জামানের স্ত্রী।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৬ নভেম্বর এস্পা বেগমের সাথে পাশের বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা নূরদ ও তার স্ত্রীর ঝগড়া হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা নূরদ বালারহাট বাজারে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যান। সেখান থেকে অটো রিক্সায় করে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। মুক্তিযোদ্ধা নূরদের এ অবস্থার জন্য তার স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন এস্পা বেগমকে দায়ী করেন। এতে উভয়ের মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়। নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুসাব্বের আলী মুসা ঘটনাটি শোনার পর ১৭ নভেম্বর সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে সেখান যান।
এস্পা বেগম ও তার ছেলে ইসমাইল (১৮) অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান তাদের কোন কথা না শুনে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা নূরদের স্ত্রীর কথা শুনে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধরক পেটাতে থাকেন এস্পা বেগমকে। এতে এস্পা বেগমের কোমড় থেকে পা পর্যন্ত মারাত্মক জখম হয়। তিনি আঘাতের চিহ্নগুলো এ প্রতিবদকসহ উপস্থিত লোকজনকে দেখান।
ইসমাইল আরও অভিযাগ করে, তার মাকে ফুলবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পরে চেয়ারম্যানের লোকজন জোর করে তাদেরকে বাড়িতে নিয়ে আসে। অভাবের কারণে তারা ঠিকমতো চিকিৎসাও করাতে পারছে না।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৭ নভেম্বর উপজেলা হাসপাতালে এস্পা বেগমের ভর্তির সিরিয়াল নম্বর ৬২১। শারীরিক আঘাতজনিত চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয়েছে বলে হাসপাতালের ভর্তি রজিস্টারে উল্লেখ আছে। হাসপাতাল থেকে তাকে কোনো ছাড়পত্র দেয়া হয়নি বলে জানাগেছে।
এ ব্যাপারে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুসাব্বের আলী মুসার কাছে জানতে চাইলে তিনি মারপিটের কথা স্বীকার করে বলেন এটি করা তার উচিৎ হয়নি।  তিনি এস্পা বেগমের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করবেন বলে জানান। এছাড়াও ওই পরিবারের জন্য ভাতাসহ সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করবেন বলে জানান তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here